পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেমিক-গুরু كان وكالا কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও ভক্তি। এই তিনটা উপায় ওতঃপ্রোত সম্বেন্ধ জড়িত —এক স্বত্রে গাথা ; ইহার কোনট ছাড়িলে ধৰ্ম্মের পূর্ণসাধন হইতে পারে না । যেমন মৎস্ত—দুইপাশ্বে হুইট পাখনা ও একটা পুচ্ছ দ্বারা জলমধ্যে অনায়াসে সস্তরণ করিয়া বেড়ায়, কিন্তু একটার অভাবে অন্ত দুইটা অঙ্গও বিকল হইয়া পড়ে—কাজেই আর সুপে সীতার দিতে পারে না ; তদ্রুপ কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও ভক্তির সাহায্যে জীব, ধৰ্ম্ম রাজ্যে অক্লেশে ভ্রমণ করিতে পরিবে, কিন্তু ইহার একটীর অভাবে, অন্তগুলিও অকৰ্ম্মণ্য হইয়া পড়িবে —কাজেই জীব মোহান্ধকারে নিমগ্ন হয় । বৰ্ত্তমান হিন্দুসমাজে এই তুর্দশা উপস্থিত হইয়াছে। অনেকেই হিন্দুধৰ্ম্মরূপ কল্পপাদপের আশ্রয় ছাড়িয়া পরগাছা অবলম্বন করিয়াছে ; কাজেই কল্পতরুর ফল লাভ ঘটিয়া উঠিতেছে না । তাই, একধৰ্ম্মাশ্রিত হইয়াও আজি জ্ঞানবাদী, কৰ্ম্মবাদী ও ভক্তিবাদী পরম্পর বিদ্বেষ কোলাহলে ধৰ্ম্মজগতে ভীষণ গণ্ডগোল উঠাইয়াছে । সম্প্রদায়ান্ধগণ অনর্থক জ্ঞান, ভক্তি ও যোগ লইয়া বিবাদ করেন । বস্তুতঃ ঐ তিনই এক । অন্ত বিষয় ত্যাগ করিয়া পরমাত্মাকেই সদা বোধগম্য রাখা প্রকৃত জ্ঞানের লক্ষণ, আর অনুরাগের বস্তুতে নিয়ত চিত্ত থাকা ভক্তির লক্ষণ । এই উভয়কেই যোগশাস্ত্রে চিত্তসমাধান অর্থাৎ সমাধি বলে । সুতরাং অভীষ্ট বস্তুতে অনন্তচিত্ততা ভক্তি, যোগ ও জ্ঞান এই তিনেই আছে। যাহারা কিছু স্থূলবুদ্ধি—দার্শনিকতত্ত্ব পরিপাক করিতে পারেন এবং সংযমে অশক্ত ; অথচ হৃদয়ের আবেগসম্পন্ন, তাহারাই ভক্ত্যভিমানী হয়। তাদৃশ স্থূলবুদ্ধিব্যক্তিগণ ও যাহাদের হৃদয়াবেগ কম, কিন্তু শারীরিক সংযম অধিক, তাহারাই যোগাভিমানী হয় । আর যাহাঁদের হৃদয়াবেগ ও হৃদয়ের সংযমের অভাব কিন্তু দার্শনিকবিষয় আয়ত্ত করিবার ক্ষমতা আছে, তাহারা জ্ঞানাভিমানী হয় । ইহাৱা সকলেই অধম অধিকারী। বস্তুত লক্ষ বন্ধ করা বা শারীরিক