পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি . هند ബ S S S S S S S S S SAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAA AAAASASASS SSSSSSMSSSMSSASAS SSAS SSAS প্রভু কহে এহোত্তম আগে কহ আর । রায় কহে কান্ত-প্রেম সব্ব সাধ্য সার। প্রভু কহে এই সাধ্যাবধি মুনিশ্চয়। কৃপাকরি কহ যদি আগে কিছু হয়। * রায় কহে রাধা-প্রেম সাধ্যশিরোমণি । যাহার মহিমা সৰ্ব্ব শাস্ত্রেতে বাখানি ॥ —শ্ৰীচৈতন্যচরিতামৃত । অতএব প্রেমময়-স্বভাব লাভ করিয়া, রাধাপ্রেমাস্বাদ করাই সাধ্যশিরোমণি অর্থাৎ চরমসাধ্য। সেই চরমসাধ্য স্বধৰ্ম্মাচরণে আরম্ভ হইয়া ক্রমশঃ নিষ্কামকৰ্ম্ম, স্বধৰ্ম্মত্যাগ, জ্ঞানমিশ্রাভক্তি,জ্ঞানশূন্ত ভক্তি, প্রেমভক্তি দাস্তপ্রেম, সখ্যপ্রেম, বাৎসল্যপ্রেম ও কাস্তাপ্রেমে উত্তরোত্তর পরিপুষ্ট হইয়া রাধাপ্রেমে পয্যবসিত হইয়া থাকে । সুতরাং এইগুলি এক একটা স্বতন্ত্র সাধ্য-ভক্তি পন্থী নহে ; উহারা চরমসাধ্যে উপনীত হইবার ক্রমোন্নতিস্তর মাত্র । স্বধৰ্ম্মাচরণে আরম্ভ করিয়া এই স্তরগুলির ভিতর দিয়া সাধন করিতে করিতে পরিশেষে রাধাপ্রেমের অধিকারী হইতে হইবে। ইহা আমাদের হাতগড় কথা নহে,-প্রেমভক্তি জগতের শ্রেষ্ঠ মহাজন কর্তৃক ইহ প্রকটিত এবং রাগমার্গের রসিকভক্ত কর্তৃক কথিত। অতএব সাধকগণ নানা পন্থ ধরিয়া, নানা শাস্ত্র খুজিয়া হয়রাণ না হইয়া, এই পন্থী অবলম্বন করিলেই ক্রমশঃ রাধাপ্রেমের অধিকারী হইয়া সৰ্ব্বাভীষ্টসিদ্ধ এবং নিত্য পূর্ণানন্দের অধিকারী হইবে,—মরজগতে অমরত্বলাভ এবং মানবজীবনের পূর্ণত্ব প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে। আমরা ধারাবাহিকভাবে একবার প্রেমভক্তি লাভের সাৰ্ব্বভৌম পথটা আলোচনা করিয়া, এ বিষয়ের উপসংহার করিব ।