পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি * יצר צ AiAeSAeeeeeAMAAASAAAA একমাত্র ভগবানকে আশ্রয় ও অবলম্বন করিবে, তখন ভগবানের প্রতি ষে অনুরাগ বা আসক্তির সঞ্চার হয়, তাহাই জ্ঞানমিশ্র ভক্তি। প্রকৃত ভক্তির ইহাই প্রথম স্তর । এই ভক্তিতে স্তব-স্তুতি থাকে, প্রার্থনা-মিনতি থাকে ; আরাধনা উপাসনা সকলই থাকে । কাজেই ইহার নাম সাধনভক্তি । তৎপরে ক্রমশঃ সাধকের চিত্ত ভগবানে একাগ্র হয়-ভক্তির কোলে আত্মসমর্পণ করিয়া তাহার স্নিগ্ধতকুম্পর্শে সংসার-কোলাহল ভুলিয়া, যখন সমগ্র হৃদয়বৃত্তির সহিত সাধক তাহাতে মজে, তখন জ্ঞানের বন্ধন খুলিয়া যায়। জ্ঞানশূন্ত হইলে ভক্তি তদগতা—স্বার্থ চিন্তা থাকেন, বিচার থাকেনা, উদ্বেগু থাকেনা—ষোল আনাই তুমি । জ্ঞানশূন্ত বিশুদ্ধ ভক্তির সাধনায় ক্রমশঃ ভগবানের মহিমজ্ঞান দুরে যায়, অর্থাৎ ভগবান সৰ্ব্বশক্তিমান, পাপ-পুণ্যের দণ্ডদাতা, স্বষ্টিস্থিতি প্ৰলয়কর্তা প্রভৃতি ঐশ্বৰ্য্যজ্ঞান দূরীভূত হইয়া প্রেমের সঞ্চার হয়। তখন সে আমার প্রাণ, আমার প্রাণের প্রাণ, মাত্র এইঞ্জানে পুত্রের ন্যায়, ভূত্যের দ্যায়, প্রেমপূর্ণ হৃদয়ে ভগবানের সেবা করিতে বাসনা জন্মে । এইখানে রাগামুগা ভক্তি প্রকৃত পক্ষে ভাবভক্তিতে পর্য্যবসিত হইল। ভাবের মোহে বিভোর হইতে পারিলে ভগবান আপনার হয়েন, নিকটে আসেন। সাধনায় দাস্ত ভাব পুষ্ট হইয়া দাস্তের সঙ্কোচ দূরে যায়, তখন ভগবানে প্রাণের প্রেম-সখীত্ব অপিত হয়। সথ্যপ্রেমের ক্ষীরধারায় ভগবান পরিতৃপ্তিলাভ করিয়া আনন্দিত ও প্রীত হয়েন । সখ্যভাবে ভক্ত ও ভগবান এক হইয়া যান । তখন ব্রজের রাখালবালকগণের ন্যায় অসঙ্কোচে ভগবানের সহিত খেলা, কাধে চড়া চড়ি, একত্ৰ শয়ন-ভোজন, নবপল্লবে ব্যজন, বন-ফুল মালায় বিভূষণ প্রভৃতি করিয়া ভক্ত বিভোর হইয়া যান। তাহার অভাবে চারিদিক শূন্ত দেখেন। এই সথা-ভাব পরিপুষ্ট হইলে বাৎসল্যভাবের সঞ্চার হয়। তুখন সাধক,ভগবানকে নিজ অপেক্ষাও ক্ষুদ্র বোধ করিয়া থাকেন।