পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি s१७ AeeAeAMMAMA SAMAAA AAAAA তপঃ-জপ আর আহ্নিক পূজন, মূলমন্ত্র আমার তুমি একজন, তব নাম-গান-শ্রবণ-কীৰ্ত্তন সাধন-ভজন আমার হে ;– গয়া গঙ্গা বারাণশী বৃন্দাবন, কোটিতীর্থ আমার ও রাঙ্গাচরণ, তব সম্মিলনে এই সামান্ত ভবন, নন্দন-কানন সমান আমার ॥ সতী যেমন পতি বিনা কিছুই জানে না, ভগবানে সেইরূপ ভাব জন্মিলে তাহাকে কাস্তাভাব বলা যায় । কিন্তু প্রেমিক ঋষি প্রেমভক্তি. তত্ত্বে শুধু কাস্তাপ্রেম দেখাইয়া নিশ্চিন্ত হইতে পারেন নাই, স্বকীয়া কাস্ত স্থলে পরকীয়া কাস্তাভাব গ্রহণ করিয়াছেন । কেননা, পতি-পত্নীর সম্বন্ধেও যেন একটু দুরভাব আছে। পত্নী পতিকে খুব নিকটে দেখেন বটে, অথচ যেন একটু উচ্চ উচ্চ প্রভূভাবে দেখেন। কেবল যে ললনা লুকাইয় অপর পুরুষের অনুরাগিণী হন, তাহার প্রেমে সে প্রভূভাব, দুরভাব নাই। তাই কাস্তাপ্রেমে পরকীয় ভাবই গৃহীত হইয়াছে। যিনি এই মধুর ভাবে ডুবিয়াছেন, তাহার আর বাহিরের ধৰ্ম্ম-কৰ্ম্ম থাকেন । তিনি বেদবিধি ছাড়া । তিনি প্রেমমধাপানে মত্ত হইয়া লজ্জা-ভয় ত্যাগ করেন, জাতি-কুলের অভিমান চিরদিনের জন্য সাগরের অতল জলে নিক্ষেপ করেন। ব্ৰজগোপীগণের কামগন্ধহীন প্রেম, মধুররসের পরম আদর্শ । গোপীগণ শ্ৰীকৃষ্ণবিরহে জর জর ; কখনও কৃষ্ণকে ‘নির্দয়” “কঠোর” বলিয়া সম্বোধন করিতেছেন ; কখনও অভিমানে স্ফীত হইয়া “তাহার নাম লইবন বলিয়া দৃঢ় সংকল্প করিতেছেন, কিন্তু প্রাণের উচ্ছাস থামাইয়া রাখিবার সাধ্য নাই, তাই আবার কখনও হৃদয়ের আবেগে সমস্ত