পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3b" প্রেমিক-গুরু দ্বারা তাহারই অৰ্চনা করিবে, অর্থাৎ—কামনাবিরহিত হইয়া ঐ সমস্ত ক্রিয়ানুষ্ঠান ভগবৎ-প্রীত্যর্থই করিবে । তাহার দ্বারা ক্রমশঃ যখন ভক্তি দৃঢ়তরা হইবে, তদনন্তরই তত্ত্বজ্ঞান হইবে ; সেই তত্ত্বজ্ঞান দ্বারা মুক্তিলাভ হইবে । ভক্তি লাভ হইলে আর বর্ণাশ্রমোচিত কৰ্ম্ম, তপস্তা, যোগ, যাগ, পূজাদিতে প্রয়োজন নাই । ভগবান বলিয়াছেন ;– 靜 তাবৎ কৰ্ম্মাণি কুবতি ন নিৰ্ব্বেদ্যেত যাবতী । মৎকথা শ্রবণাদে বা শ্রদ্ধা যাবমজায়তে ॥ —শ্ৰীমদ্ভাগবত, ১১।২০৯ যে পৰ্য্যন্ত নিৰ্ব্বেদ, অর্থাৎ বিষয়ের প্রতি বৈরাগ্য না জন্মে ও যাবধি আমার কথাদিতে শ্রদ্ধা না জন্মে সেই পৰ্য্যস্ত বর্ণাশ্রমবিহিত কৰ্ম্মসকল করিবে ।” এই প্রকার শাস্ত্র-বিধি-বিহিত কৰ্ম্ম করিয়া যখন অন্তঃকরণ নিৰ্ম্মল হইবে, তখন ভক্তি উদ্রিক্ত হইয়া সৰ্ব্বদা ইচ্ছা হইবে যে, কতদিনে পরমধন লাভ করিব। আর তখন যাবতীয় জগতের সকলেরই প্রতি বৈরাগ্য হইয়া, যদ্বারা ভগবানের সচ্চিদানন্দস্বরূপ নিত্যবিগ্রহে মনোনিবেশ হয়, তদুপযোগী বেদাস্তাদি শাস্ত্রে রুচি হয়। গুরূপদেশ সহকারে ঐ সকল অধ্যাত্ম-শাস্ত্রের আলোচনা করিতে করিতে র্তাহার নিত্য কলেবর—সেই আপার আনন্দসাগর কোনও সময়ে অত্যন্ত্রকালের জন্ত অন্তঃকরণে স্পর্শ হয়, তাহাতেই জগতের বাবতীয় পদার্থকে অত্যন্ত্র জঘন্য মুখের কারণ বলিয়া বোধ হয়, তজ্জন্ত কোন বস্তুতে অভিলাষ থাকেনা ; সুতরাং কামনা পরিত্যাগ হইয়া যায়। সমুদায় জীব-জগতে ভগবৎসত্তা নিশ্চয় হইয় সকল জীবের প্রতিই পরম যত্ন উপস্থিত হয় ; মুতরাং হিংসাও পরিত্যাগ হয়। এবন্দ্রকার ভাবাপন্ন হইলেই তত্ত্ববিদ্যা আবিষ্কৃত হন, ইহাতে সংশয় নাই। তত্ত্বজ্ঞান উপস্থিা হইলেই তাহার নিতানন্বিগ্রহ ৰে