জীবন্মুক্তি همد পরমাত্মা-ভাব তাহাই সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ হয়, তাহাতেই সাধকের জীবন্মুক্তি লাভ হইয়া থাকে । মুক্তির কারণ স্বরূপ যে ভক্তি, সহস্ৰ সহস্র মনুষের মধ্যে কেহ ভগবালে সেই ভক্তিযুক্ত হ’ন, সহস্ৰ সহস্র ভক্তিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে আবার কেহ তত্বজ্ঞ হন । ভগবানের যে রূপ পরম স্বক্ষ, মুনিৰ্ম্মল, নিগুণ, নিরাকার, জ্যোতিঃস্বরূপ, সৰ্ব্বব্যাপী অথচ নিরংশ, বাক্যাতীত সমস্ত জগতের অদ্বিতীয় কারণ স্বরূপ, সমস্ত জগতের আধার, নিরালম্ব, নিৰ্ব্বিকল্প, লিত্যচৈতন্ত, নিত্যানন্দময়, ভগবানের সেই রূপকে মুমুক্ষু ব্যক্তির দেহবন্ধ বিমুক্তির জন্য অবলম্বন করেন। মায়ামুগ্ধ ব্যক্তিরা সৰ্ব্বগত অদ্বৈতস্বরূপ পরমেশ্বরের অব্যয়রূপকে জানিতে পারে না ; কিন্তু যাহারা ভক্তি পূৰ্ব্বক ভগবানকে ভজনা করে, তাহারাই তাহার পরমরূপ অবগত হইয়া মায়াজাল হইতে উত্তীর্ণ হয়। স্বল্পরূপের ন্তায় স্থলরূপেও তিনি এই সমস্ত বিশ্বপরিব্যাপ্ত হইয়া রহিয়াছেন ; সুতরাং সমস্ত রূপই তাহার স্থলরূপের মধ্যে গণ্য, তথাপি আপন আপন গুরূপদিষ্ট ধোয় মূৰ্ত্তির আরাধনা করিতে হইবে, কারণ উহাই শীঘ্র মুক্তিদানে সমর্থ। এইরূপ উপাসন করিতে করিতে যখন গাঢ় ভক্তির উদয় হয়, তখন পরমাত্ম-স্বরূপ ইষ্টদেবতার সুশ্নরূপ প্রত্যক্ষ হইয়া থাকে । তখন জগতের কোনও রমণীয় ৰস্তুকে তদপেক্ষ রমণীয় বলিয়া বোধ হয় না,—জগতের কোনও লাভকে ভল্লাভ হইতে অধিক জ্ঞান হয় না ; মনপ্রাণ র্তাহার প্রেমরস-মাধুর্য্যে চিরকালের জন্ত ডুবিয়া যায়। তাহাতে সেই মহাত্মারা দুঃখালয় অনিত্য পুনর্জন্ম আর ভোগ করেন না। অনন্তমনা হইয়া যে ব্যক্তি ভগবানকে সৰ্ব্বদা স্মরণ করেন, তিনি অচিরে এই হ্রস্তর সংসার সাগর হইতে উদ্ধার হইয়া থাকেন। অর্জুনের নিকট ক্রকৃষ্ণ ইহাই নিয়াছিলেন ;—
পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২০১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।