পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σίνιν প্রেমিক-গুরু হিন্দু শাস্ত্রানুসারে মুক্তি প্রধানতঃ দুই ভাগে বিভক্ত, যথা—জ্ঞান-মুক্তি গু কৰ্ম্মজ মুক্তি। প্রথম জ্ঞানমুক্তি অর্থাৎ - জ্ঞালের দ্বারা যে মুক্তি আনীত হয়, তাহাকে “নিৰ্ব্বাণ" বা “বিদেহ কৈবল্য’ মুক্তি বলে এবং তাহ চরমতম মুক্তি বুঝায়। এই মুক্তিই অনন্তকালব্যাপী মুক্তি । দ্বিতীয় কৰ্ম্মজ মুক্তি অর্থাৎ-কৰ্ম্মম্বারা যে মুক্তি পাওয়া যায়, তাহ একটা নিদিষ্টকালব্যাপী মুক্তি। এই কৰ্ম্মজ মুক্তি অর্থাৎ যাগ যজ্ঞ, তপস্যাদির অনুষ্ঠান, কাশী প্রভৃতি স্থানে তনুত্যাগ ইত্যাদি দ্বারা যে মুক্তি পাওয়া যায়, তাহ ভাবার চারি ভাগে বিভক্ত ; যথা –সালোক্য, সারূপ্য সাষ্টি ও সাযুজ্য । মাং পূজয়তি নিষ্কামঃ সর্ববদ জ্ঞানবর্জিতঃ । স মে লোকং সমাসাদ্য ভুঙক্তে ভোগান যথেপিলতান। --শিবগীতা, ১৩৪ যে ব্যক্তি অজ্ঞানবর্জিত ও নিষ্কাম হইয়। সৰ্ব্বদা ভগবানের অর্চনা করে, সেই ব্যক্তি ভগবল্লোকে গমনপূৰ্ব্বক বাঞ্ছিত ভোগ উপভোগ করিয়া থাকে, ইহাকেই সালোক্য মুক্তি বলে । জ্ঞাত্বা মাং পূজয়েদ যস্ত সৰ্ব্বকামবিবর্জিতঃ । ময়া সমানরূপঃ সন মম লোকে মহীয়তে ॥ – শিবগীতা, ১৩le যে ব্যক্তি পরমেশ্বরকে জ্ঞাত হইয়া বিষয়-বাসনা পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক তাহার পূজা করে, সেই ব্যক্তি স্বীয় ইষ্টদেবতার সদৃশ রূপ ধারণ করিয়া তীয় লোকে গমন করে । সৈব সালোক্যসারূপ্যসামীপ্য মুক্তি রিষ্যতে ॥ t —মুক্তিকোপনিষৎ ১২১