পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি O পূর্বক গ্রহণ করিয়া থাকেন, এমন আর কিছুই নহে। ভক্তিপূৰ্ব্বক ডাকিলে, তিনি না আসিয়া পাকিতে পারেন না । ভক্তিতে পিত্তলের প্রতিমা অল্প ভক্ষণ করেন, ভক্তিতে নোলক পরিবার জন্ত পাষাণ-প্রতিমার নাকে ছিদ্র হয়, ভক্তিতে শালগ্রামশীলা অলঙ্কার পরিবার জন্ত হস্ত বহির করেন,–ভক্তিতে এমন হয়, ভক্তির অসাধ্য জগতে কিছুই নাই। তাই ভক্ত চূড়ামণি প্রহ্নাদের ভক্তিতে স্ফটিক স্তম্ভ বিদীর্ণ পূৰ্ব্বক নৃসিংহ মূৰ্ত্তির আবির্ভাব হইয়াছিল। ভগবান ভক্তাধীন—ভক্তির জন্ত তিনি ক্রীড়া পুত্তলী । সমস্ত ইক্রিয়শক্তির সহিত মনের তদগত ভাবকেই ভক্তি বলা যায়। তাহ হইলেই ভক্তিকে ইচ্ছাশক্তির ঐকাস্তিকী স্বমুখী বৃত্তি বলা যাইতে পারে। ইচ্ছাশক্তির ( will force ) ঐকান্তিক চালনে তিনি মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া থাকেন । সমুদ্রের জল যেমন আত্যন্তিক শৈত্যে জমিয়া বরফ হয়, তদ্রুপ নিরাকার, নিৰ্ব্বিকার অনন্ত চিন্ময় ভগবান ভক্তের ঐকান্তিকী ইচ্ছাশক্তির বলে চিদান হইয়া প্রকাশিত হন- জগন্ময়, মনোময়রূপে আসিয়া দেখা দেন। ফেজল দোর্দণ্ড প্রতাপাম্বিত দায়রার বিচারপতি তদীয় শিশু পুত্রের অনুরোধে বিদ্যা, বুদ্ধি ও শক্তিশালী মনুষ্য হইয়াও ঘোড়া সাজিতে বাধ্য হন, তদ্রুপ জ্ঞানময় ও শক্তিময় বিরাট ভগবান ভক্তের আব্দারে তাহার মনোময়ী মূৰ্ত্তিতে আবিভূর্ত হইয়া থাকেন। উক্ত বিচারপতির সহিত অপরে কথা বলিতেও ভীত— সঙ্কুচিত হয় ; কিন্তু তদীয় পুত্র যেমন র্তাহার গোপ ধরিয়া ঘোড়া হইতে বাধ্য করে, তদ্রুপ অপরে ভগবানের বিশ্বরূপ ও বিরাট বিভূতি দেখিয়া আত্মহারা হইয়া যায় বটে, কিন্তু যে ভাগ্যবান ব্যক্তি ভগবানের কৃপায় র্তাহাকে “আমার” বলিয়া জানিয়ায়াছেন, সেই ভক্তের নিকট ভগবান তাহার ইচ্ছানুসারে মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ করিয়া উদয় হন। এ তত্ত্ব ভগবদ কৃপা ব্যতীত অন্তরূপে হৃদয়ঙ্গম হয় না । *