পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, 8 প্রেমিক-গুরু অনেকে মনে করে, জ্ঞান ভক্তির বিরোধী। সেই হেতুবাদে অন্মদেশে অনেককাল ধরিয়া জ্ঞান ও ভক্তি লইয়া বাদামুবাদ চলিতেছে । জ্ঞান বড় কি ভক্তি বড় ইহা লইয়া অনেক তর্কবিতর্ক হইয়া গিয়াছে। অধুনা জ্ঞান-মার্গের সাধকগণ ভক্তিমার্গের সাধক দেখিলে “বিটল” উপাধিতে বিভূষিত করেন ; আর ভক্তিমার্গের সাধকগণ জ্ঞানমার্গের সাধক দেখিলে “আরসিক" বলিয়া উপেক্ষা করেন । কেহই তাহাদের স্বীয় আচরণের ভাবী বিষময় ফলের কথা চিন্তা করেন না,-হিংসদ্বেষ কলুষিতচিত্তে সে চিন্তার অবসরও হয় না । ভক্তগণ বলেন “জ্ঞানে মিষ্টত্ব আছে বটে, কিন্তু অত্যন্ত শুষ্ক—যেমন মিশ্রি ।” আর জ্ঞানী বলেন, "ভক্তি সুপেয় বটে, কিন্তু তেমন মিষ্টত্ব নাই—যেমন দুগ্ধ।” কিন্তু তাহারা কেহই বুঝেন না যে, ঐ দুগ্ধ ও মিশ্রি কৰ্ম্মের আবর্তনে মিশ্রিত হইলে ত্রিসমন্বয় ঘনাস্থত অতি মুম্বাছ সরবত প্রস্তুত হইবে। জ্ঞানী বুঝেন না যে, ছন্ধের সাহায্যে মিশ্রি গলিয়া অদৃষ্ঠ হইলেও তাহার অস্তিত্ব কখনই লোপ হইবে না। আর ভক্ত বুঝেন না যে, মিশ্রির সাহায্যে দুগ্ধের আস্বাদ যদিও অন্যরূপ হয়, তথাপি সে রূপান্তরিত হইবে না ; বরং মিশ্রি তাহার মাধুৰ্য্যই বাড়াইয়া দিবে। অধিকন্তু জ্ঞানী এবং ভক্ত উভয়ের কেহই বুঝেন না যে, জ্ঞান ও ভক্তির শুভ সম্মিলনেই ধৰ্ম্মের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত। এই মৰ্ম্ম-রহস্ত সাধারণে অবগত নহে বলিয়াই আজ হিন্দুধৰ্ম্মরূপ কল্পপাদপে শত শত পরগাছ গজাইয়া ইহাকে জীর্ণ শীর্ণ শুষ্ক কাষ্ঠে পরিণত করিয়াছে । s অতএব জ্ঞান কখনই ভক্তির বিরোধী নহে । তবে ব্যবহারিক জ্ঞান -অবশুই ভক্তির বিরোধী হইতে পারে। জ্ঞান ব্যতীত ভক্তির স্থান কোথায় ? চিৎ ব্যতীত কি আনন্দের বিকাশ হইতে পারে ? মনে যে সংস্কার থাকে, ইন্দ্রিয়-পথে বিষয়বোধে তাহার বিকাশ হয় বিকাশ হইলেই