পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি ૨88 যে ব্যক্তি স্বীয় পিতামাতা ও পত্নী প্রকৃতিকে পরিতৃপ্ত না করি সন্ন্যাসাশ্রমে গমন করে তাহাকে পিতৃহত্যা, মাতৃহত্যা, স্ত্রীহত্যা ও ব্রহ্মহত্যাদি জনিত পাপে লিপ্ত হইতে হয়। তাই শাস্ত্রে আছে যে— বিদ্যামুপার্জয়েদ বাল্যে ধনং দারাংশ্চ যৌবনে । প্রৌঢ়ে ধৰ্ম্মাণি কৰ্ম্মাণি চতুর্থে প্রব্রজেৎ সুধা ॥ —মনুসংহিতা । বাল্যকালে বিদ্যোপার্জন করিবে, যৌবনাবস্থায় ধনোপার্জন ও দারপরিগ্রহ করিবে, প্রৌঢ় সময়ে ধৰ্ম্মকৰ্ম্মানুষ্ঠানে রত থাকিবে এবং বৃদ্ধাবস্থায় ( পঞ্চাশোর্দ্ধে ) সন্ন্যাসাশ্রম অবলম্বন করিবে । শাস্ত্রকারগণের এরূপ কঠোর আজ্ঞাসত্ত্বেও বুদ্ধদেব, শঙ্করাচাৰ্য্য, কপিলদেব, শুকদেব, গৌরাঙ্গদেব প্রভূতি অবতারগণ এবং কত মহাত্মা আত্মীয়বর্গকে শোকাকুল করিয়া প্রব্রজ্য গ্রহণে বাধ্য হইয়াছিলেন । সুতরাং এই সকল আদর্শ মহাপুরুষের দ্বারা ইহাই প্রচারিত হইয়াছে যে, প্রকৃত বৈরাগ্য উপস্থিত হইলে যে কোন সময়ে সন্ন্যাসাশ্রম অবলম্বন করা যাইতে পারে । এই কারণে শাস্ত্র “তত্ত্বজ্ঞানে সমুৎপন্নে” ইত্যাদি বাক্যে সন্ন্যাসের অধিকার নির্ণয় করিয়া দিয়াছেন । ভগবানের প্রেমাকর্ষণ যে ব্যক্তি অনুভব করিতে পারিয়াছে, তাহার নিকট শাস্ত্র-যুক্তির মর্য্যাদ। রক্ষিত হয় না । তাই প্রেমের মহাজন ঐীমৎ রূপগোস্বামী বলিয়াছেন,— তত্তৎভাবাদিমাধুর্য্যে শ্রীতে দীর্যদপেক্ষতে। নাত্র শাস্ত্ৰং ন যুক্তিঞ্চ তল্লোভোৎপত্তিলক্ষণম্।

  • —ভক্তিরসামৃতসিন্ধু। সেই মাধুৰ্য্যভাব উপস্থিত হইলে ঈশ্বরলাভবিষয়ে এতাদৃশ বোধ উৎপন্ন হয় যে,যুক্তি কিম্ব শাস্ত্রোক্ত বিধি-নিষুেধের কিছুই অপেক্ষ থাকে না ।

هسو& <