পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি ૨8૭ মোদিত ব্ৰহ্মচৰ্য্যরূপ মূল ছেদিত হওয়ায়, মুক্তি-কল্পপাদপের অন্যান্ত অঙ্গ ঐহীন ও শুষ্ক হইয়া গিয়াছে। আর সেই শুষ্ক-পাপে অসংখ্য পরগাছ গজাইয়া উঠিয়াছে। এক্ষণে গার্হস্থ্য ও সন্ন্যাস, এই উভয় আশ্রমই জীর্ণদশাগ্রস্থ কঙ্কালাবশেষ হইয়া পড়িয়াছে। আজকাল বিস্তা, জ্ঞান, সংযমশিক্ষা হউক, আর না হউক দীর্ঘকেশ-শ্মশ্রনথাদি রাখিয়া কষায় ধারণ ও রুক্ষ স্নানাদির বাহ্য-অনুষ্ঠানকারীই লোকসমাজে ব্রহ্মচারী। দেবকৃত্য, পিতৃকৃত্য, স্বাধ্যায় ও আশ্রমোচিত অন্তান্ত অবশুপালনীয় কাৰ্য্য কর বা না কর, বিবাহ করিয়া পুত্রোৎপাদন করিতে পারলেই সে গৃহস্থ । শিক্ষিতা বধুমাতার মন্ত্রণায় উপযুক্ত পুত্র বাটীর বাহির করিয়া দিলে তখন পিতামাত বানপ্রস্থী। আর যখন প্রাণবায়ু বাহির হইলে নশ্বর তমুকে ছিন্নবস্ত্রে জড়াইয়া কলসীর্কাথা সহ শ্মশানে নিক্ষেপ করিবে, তখনই পূর্ণসমাধি-সন্ন্যাস সিদ্ধ হইবে । হায় ! হায়! ব্ৰহ্মচৰ্য্য অভাবে * ও কালপ্রভাবে হেমপ্ৰভা ভারতের কি মলিন মূৰ্ত্তিই হইয়াছে । তাই আজ ভারতবাসীও দুর্দশাগ্রস্ত ও নিন্দিত হইয়া পড়িয়াছে । বিষম কাল পড়িয়াছে । বিষম কাল পড়িয়াছে বলিয়াই ত ভয় হয় । হায়রে । জন্মজন্মাস্তর তপস্তা না করিলে মানব যে সন্ন্যাস কখনই লাভ করিতে পারিত না, আজকাল কালপ্রভাবে সেই পাপপুণ্যাতীত পবিত্র আশ্রম সাধারণের সন্দেহ স্থল হইয়া পড়িয়াছে। কুক্ষণেই রাক্ষসরাজ রাবণ কপট সন্ন্যাসীর বেশে সীতা হরণ করিল, সেই অবধি চোর, ডাকাত, নরঘাতক, লম্পট, বদমায়েস প্রভৃতি ব্যক্তিগণ আপন দুরভিসন্ধি সিদ্ধির

  • মৎপ্রণীত “ব্রহ্মচৰ্য্য সাধনে” ব্রহ্মচৰ্য্য ও তাহার উপকারিতা লেখা হইরাছে ।

{} Ö