পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૮:જ প্রেমিক-গুরু ধিনি তত্ত্বজ্ঞানে পরিপূর্ণ হইয়া পূর্ণতৰপদে অবস্থিত এবং সতত পরব্রহ্মে অনুরক্ত, তাহার নাম পুরী। আজ তীর্থে-তীর্থে, বন-জঙ্গলে, পাহাড়-পৰ্ব্বতে, গ্রাম-নগরে এবং ইউরোপ-আমেরিকায় যে গৈরিকধারী সন্ন্যাসী দেখিতেছ, তাহারা সকলেই ভগবান শঙ্করাচার্য্যের অপার মহিমা বিঘোষিত করিতেছেন এবং তাহারই অমানুষী কীৰ্ত্তির পরিচয় দিতেছেন । পূৰ্ব্বে নিয়ম ছিল, প্রথম আশ্রম ত্রয়ের যথাবিধি ধৰ্ম্মপালন পূর্বক ব্রাহ্মণগণ সন্ন্যাস অবলম্বন করিতে পরিবে । কিন্তু শঙ্করাচাৰ্য্য ব্যবস্থা করিলেন, বৈরাগ্য উদয় হইয়া উপযুক্ত হইলেই যে কোন ব্যক্তি-ষে আশ্রমী হউক না কেন একেবারে সন্ন্যাস গ্রহণ করিতে পরিবে । তাই তাহার মতের উদারগৰ্ত্তে সকলেই আশ্রয় লাভ করিয়া তদীয় মহত্ব বিঘোষিত করিতেছেন। এই সন্ন্যাসিগণ প্রধানতঃ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত, এক দণ্ডী স্বামী,— দ্বিতীয় পরমহংস । প্রথম অবস্থায় দণ্ডীস্বামী হুইয়া এহ্মজ্ঞানালোচনা করিবেন, পরে ব্রহ্মস্বরূপ উপলব্ধি হইলে পরমহংস হইয়া লোকশিক্ষা, শাস্ত্রব্যাখ্যা এবং জগদ্ধিতায় নিযুক্ত হইবেন । এই সন্ন্যাসিগণ হিন্দু সমাজের সর্বসম্প্রদায়ের গুরু । কেন না যে বেদবেদান্ত ও পুরাণের মতানুসারে হিন্দুসমাজ পরিচালিত হইতেছে, তাহা ভগবান বেদব্যাসের রচিত ও ব্যাখ্যাত । সুতরাং ব্যাসদেব সৰ্ব্বসম্মত হিন্দু সমাজের গুরু । র্তাহার সন্তান ও শিষ্য শুকদেবাচাৰ্য্য, শুকদেবের শিষ্য গৌড়পাদাচাৰ্য্য, গৌড়পাদের শিষ্য গোবিন্যপাদাচাৰ্য্য, গোবিন্দ পাদের শিষ্য শঙ্করাচার্য্য এবং শঙ্করের শিম্বোপশিষ্য বর্তমান সন্ন্যাসী-সম্প্রদায় । সুতরাং সন্ন্যাসিগণই হিন্দু সমাজের গুরু । আবার এই সন্ন্যাসী সম্প্রদায়ভুক্ত কোন কোন মহাত্মা হইতে ভারতের আধুনিক যাবতীয় (ব্রাহ্ম ব্যতীত) সম্প্রদায় গঠিত হইয়াছে। আধুনিক সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠব্যক্তিগণ আপন আপন সম্প্রদায়েরই