পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e প্রেমিক-গুরু আর কেবল চক্ষু মুদিয়া ভেটকি মাছের মত মাঝে মাঝে ‘হা’ করতঃ “গোপীবল্লভ” “প্রাণবল্লভ” বলিয়া রব ছাড়িলেও ভক্তির সাধন হয় না। শ্ৰীমুখে ভগবান বলিয়াছেন – যে তু সর্বাণি কৰ্ম্মাণি ময়ি সমস্ত মৎপরীঃ । অনন্তেনৈব যোগেন মাং ধ্যায়ন্ত উপাসতে ॥ তেষামহং সমুদ্ধৰ্ত্ত মৃত্যুসংসার-সাগরাৎ । ভবামি ন চিরাং পার্থ ময্যাবেশিতচেতসাম্ ॥ —শ্ৰীমদ্ভগবদ্গীত ১২৬-৭ যাহারা আমাতে সমস্ত কৰ্ম্ম সমর্পণপূর্বক মৎপরায়ণ হইয়া অনন্ত পরাভক্তি দ্বারা আমাকেই ধ্যান ও উপাসনা করেন,আমি সেই সকল ব্যক্তিকে অচিরকাল মধ্যেই মরণশীল সংসার সাগর হইতে উদ্ধার করিয়া থাকি । অতএব ভক্তিই ভগবদারাধনার প্রাণ। ভক্তিবিহীন ব্যক্তির তপ, জপ, উপাসনা বন্ধ্যানারীতে সস্তান উৎপাদনের চেষ্টার দ্যায় বিফল । প্রকৃত সাধক ভক্তি ব্যতীত কোন দ্রব্যই আকাঙ্ক্ষা করেন না । ভক্তিতে ভক্তের অবস্থা ভাষায় ব্যক্ত করিতে যাওয়া বিড়ম্বন মাত্র । ভক্তির সাধনার ক্রমে প্রেমভক্তির উদয় হয় তখন ভক্ত শাস্ত, দাস্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও কান্ত প্রভৃতি প্রেমের উচ্চস্তরের মাধুরীলীলায় বিভোর হইয়া যান। সাধক সৰ্ব্বত্রই ভগবানেরই অস্তিত্ব দর্শন করিয়া থাকেন । তখন তিনি জানিতে পারেন যে,— \ বিস্তারঃ সৰ্ব্বভুতস্য বিষ্ণোৰ্ব্বিশ্বমিদং জগৎ । দ্রষ্টব্যমাত্মবৎ তস্মাদভেদেন বিচক্ষণৈঃ ॥ বিষ্ণুপুরাণ ।