পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳe প্রেমিক-গুরু SAMA AMMAAAA একের প্রধান্ত প্রতিপন্ন করিতে অষ্ঠের লিনা প্রচার করিয়া থাকে। পরের ধৰ্ম্ম নিদায় নিজধৰ্ম্মের গৌরব হানি হয়, এই সোজা কথা যে সকল ব্যক্তি বুঝিতে পারে না, ভগবানের কৃপা ব্যতীত তাহদের গত্যন্তর নাই । এক অবতার দয়াল । কিন্তু কোন অবতার দয়াল নহে?—একই ভগবান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে জীবের অভাব-পূরণার্থ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে অবতীর্ণ হইয়া থাকেন। অবতার কথাটাই যে দয়ায় মাথা, জীবের প্রতি দয়া না হইলে তিনি স্বরূপ ছাড়িয়া জীবভাব অবলম্বন করিবেন কেন ? আর কোন অবতার অপ্রেমিক আমরা তাহ বুঝিয়া উঠিতে পারি না । যিনি রাজ্যৈশ্বৰ্য্য, পতিব্ৰতা স্ত্রী ও শিশুপুত্র পরিত্যাগ করিয়া জীব-দুঃখ মোচনের জন্ত যৌবনে সন্ন্যাসী হইলেন, সে বদ্ধদেব কি মপ্রেমিক ? যিনি বিম্বিসার রাজার নিকট নিজের অমূল্য জীবনের বিনিময়ে কতকগুলি ছাগলের প্রাণভিক্ষ চাহিয়া ছিলেন, সেই বুদ্ধদেব কি অপ্রেমিক ? যিনি ক্রুশে বিদ্ধ হইয়া অত্যাচারী ব্যক্তিবর্গের জন্য দয়া ভিক্ষা করিয়াছিলেন, সেই যিশু কি অপ্রেমিক ? আর শঙ্করাচার্য্য তো প্রেমের বীজ বপন করিয়া গিয়াছেন । পাপ-পুণ্যবান, ব্রাহ্মণ-চণ্ডাল কিম্বা কীট-পতঙ্গকে সংবুদ্ধিতে ভালবাসিতে যাওয়া কি সোজা কথা ?—ধ’রে বেধে কি পীরিত হয় ?— কিন্তু আমি “আমাকে” ভাল বাসি, ইহা বুদ্ধি খরচ করিয়া বুঝিতে হয় না, আবার আকীট ব্ৰহ্ম পৰ্য্যস্ত যাবতায় পদার্থ সেই আমিত্বেরই বিকাশ ; ইহাই শঙ্করমতের মূল-মন্ত্র। সুতরাং আমিত্বের স্বরূপ উপলব্ধি হইলে আত্মপ্রীতি বিশ্ব-প্রেমে পরিণত হইবে । অনেকে মনে করে, শঙ্করাচাৰ্য্য ভক্তিতত্ত্ব জ্ঞাত ছিলেন না। যিনি বিবেকচুড়ামণি গ্রন্থে মুক্তিসাধনের যত প্রকার উপায় আছে, তন্মধ্যে ‘ভক্তিরেব গরীয়সী” বলিয়া ভক্তির প্রাধান্য প্রমাণ করিয়াছেন, তিনি ভক্তিতত্ত্ব বুঝিতেন না বলিলে নিজেরই মুখত ও নিরঞ্জত প্রকাশ পায়। আবার আর এক শ্রেণীর দেশদ্রোহ। ভগবান