পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳ8 প্রেমিক-গুরু অর্থাৎ—জ্ঞান-পথে অদ্বৈততত্ত্ব লাভ করিলে যে কোন সংশ্লেষণ অর্থাৎ ভক্তিপথ অবলম্বন করা যাইতে পারে। কারণ জ্ঞান লাভ হইলে সাধক বুঝিতে পারে যে, একই অদ্বৈততত্ত্ব অনন্ত আধারে অনস্তরূপে—অনস্ত ভাবে প্রকাশিত হইতেছে । সুতরাং তখন সমস্ত ভেদ-ভাব বিদূরিত হয়— হিংসা-বিদ্বেষ পলায়ন করে । আর এক স্থানে পরমহংসদেব বলিয়াছেন ; জ্ঞানীরা নেতি নেতি করিয়া সিড়িগুলি অতিক্রম পূর্বক ছাদে উঠিয়াযান, কিন্তু ছাদে যাইয় দেখেন যে, ছাদও যে চুণ সুরকী-ইটের সমষ্টি, সিড়িগুলিও তাহাই । রামকৃষ্ণ সৰ্ব্বসাম্প্রদায়িকধৰ্ম্মের ভাব স্বতন্ত্র রাখিয়া, তাহাদের ঔৎপত্তিক কারণ একস্থান নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন । তিনি খৃষ্টান, মুসলমান, হিন্দুর শাক্ত-বৈষ্ণবাদি, কাহারও ভাব নষ্ট করিয়া দেন নাই,সব ধৰ্ম্ম সত্য জানাইয়া নৈষ্ঠিক ভাবে আপন আপন সাম্প্রদায়িকভাবে সাধন করিতে উপদেশ দিয়াছিলেন । সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয় বলিলে এ কথা বুঝিও না যে, সব ভাব ভাঙ্গিয়া চুরিয়া এক করিয়া দেওয়া । স্ত্রীজাতি ত্রক হইলেও ভগ্নীভাবে মাতার ভাব বুঝা যায় না। আবার ভগ্নীতে স্ত্রীভাব উপলব্ধি করিতে যাইলে ভগ্নীভাব ধিকৃত হয় । সেইরূপ প্রত্যেক সম্প্রদায়ের উপাস্ত এক বস্তু হইলেও ভাবের তারতম্য থাকা প্রযুক্ত, সেই সেই ভাব শিক্ষাদ্বারা সাধন করিলে তবে সেই ভাব প্রস্ফুটিত হইতে পারে। বৌদ্ধভাবে কি আর গোপীভাব উপলব্ধি করা যায় ? আমার সাধন-পথট একমাত্র সত্য, অন্ত গুলি ভ্রান্ত, এই ভাবের বশবৰ্ত্তী হইয়া সকলের নিন্দা না করিয়া,সতী নারীর ন্যায় আপন ভাবে বিভোর হইয়া থাক। ষে যেরূপে উপাসনা করে, তাহার মনোরথ সেইরূপে সিদ্ধ হয়। রামকৃষ্ণ বলিয়াছেন, “ভাব বহু কিন্তু মূলে এক, সৰ্ব্ব সাম্প্রদায়িক ভাব নৈঠিক ভাবে সাধন করিলে একইসত্যে উপস্থিত করে।” নৈষ্ঠিক ভাব ও গোড়ামী এক কথা নহে । আপন ভাবে সতীর স্তায় সাধন কর, কিন্তু কাহারও ভাবের নিন্দ