পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি-অবস্থা -()•Ο-- যাহার হৃদয়ে শঙ্কর-গৌরাঙ্গের এক সিংহাসন স্থাপিত হইয়াছে+ যাহার হৃদয়ে ভক্তিগঙ্গা, জ্ঞানসমুদ্রের সহিত মিলিত হইয়াছে, তিনিই জগতে জীবন্মুক্ত। তাই জ্ঞান-ভক্তির পূর্ণাদশ শুকদেবকে “ওকে মুক্তঃবলিয়া শাস্ত্রকারগণ প্রকাশ করিয়াছেন। তত্ত্বজ্ঞানী-নির্লিপ্ত গৃহস্থ এবং পরমহংস সন্ন্যাসিগণ জীবন্মুক্ত ; এক কথায় ব্রহ্মবিৎ ব্যক্তিই মুক্ত । “ব্রহ্মবিৎ ব্রহ্মৈব ভবতি” বলিয়া শ্ৰুতি ব্ৰহ্মজ্ঞের মুক্তি ঘোষণা করিয়াছেন । কিন্তু ব্রহ্মবিৎ বলিলে আধুনিক সমাজের লোক আতঙ্কে শিহরিয়া উঠে • তাহারা ব্রহ্মবিৎ অর্থে স্বেচ্ছাচারী, সমাজদ্রোহী, দেব-গুরু নিদাকারী, বেদবিরোধী নাস্তিককে বুঝিয়া থাকে। যে দেশে শিবস্বরূপ ব্ৰহ্মজ্ঞ শঙ্করাচাৰ্য্য আবিভূত হইয়া ব্ৰহ্মজ্ঞান প্রচারে মুক্তির দ্বার উদঘাটিত করিয়া দিয়াছেন,সে দেশের লোক ব্রহ্মবিৎ সম্বন্ধে কেন এরূপ ভ্রান্তধারণার বশবৰ্ত্তী হইল, তাহা অঘটন ঘটন-পটিয়সী মায়াই বলিতে পারেন। ব্রহ্মজ্ঞ মহাত্মার নিকট যে ব্ৰহ্ম হইতে কীট পৰ্য্যন্ত সমান আদরে গৃহীত হয়। তাহার নিকট ব্রাহ্মণ-চণ্ডাল, পুরুষ-নারী, পাপ-পুণ্যবান, জড়-চৈতন্ত, অণু পরমাণু, বৃক্ষ-শিলা, কীট-পতঙ্গ প্রভৃতি যাৰতীয় বস্তুই ব্রহ্মস্বরূপে প্রতিভাত হয় ; সুতরাং একটা অণুও যে র্তাহার নিকট আত্মবৎ প্রীতির বস্তু এবং ভগবানের ন্যায় ভক্তির সামগ্রী। সাধারণ লোক আপনার ইষ্টদেবতা ব্যতীত অন্ত বস্তুতে তুষ্ট হইতে পারে না, আর ব্রহ্মবিদের নিকট সকল বস্তুই ইষ্টদেবতার স্বরূপ । শাক্ত বলে শক্তি ভিন্ন গতি নাই, বৈষ্ণব আবার কালীর নাম শুনিলে কর্ণ-মধ্যে অঙ্গুলী দিয়া থাকে, কিন্তু