পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ প্রেমিক-গুরু ভগবানের ভক্ত হইয়া উঠে। যাহা হউক, বিকৃত বদ্ধজীব-স্বভাবের সেই সাৰ্ব্বভৌম অভাবটা কি, এতদ্বিষয়ে প্রণিধান করিলেই ভগবস্তুক্তির স্বরূপ হৃদয়ঙ্গম করিবার পক্ষে সবিশেষ সুবিধা হইবে । যদ্বারা শব্দ, স্পর্শাদি বিষয়-প্রপঞ্চ অবগত হওয়া যায়, তাহাই ইন্দিয় । এই ইন্দ্রিয় বাহাস্তর ভেদে দুই প্রকার ; অন্তঃকরণ ও বায়ু করণ। বাহেন্দ্রিয় আবার জ্ঞান ও কৰ্ম্মভেদে দুই শ্রেণীতে বিভক্ত । প্রত্যেক ইঞ্জিয়ের এক এক অধিষ্ঠাত্রী দেবতা আছেন, ইহঁাদিগের প্রসাদে ইন্দ্রিয়গণ সামর্থ্য লাভ করিয়া স্ব স্ব বিষয়াভিমুখে কাৰ্য্যাৰ্থ অগ্রসর হইতে সমর্থ হয়। এই সমুদয় ইন্দ্রিয় ও তত্ত্বদধিষ্ঠাতা দেবতাদিগের বিষয়াস্তরে মিলিত হইবার জন্ত একটা স্বাভাবিক শক্তি আছে ; ইহার অনুরোধেই তাহারা সংসার-দশাতে নিশ্চিন্তু হইয়া স্ব স্বরূপে অবস্থিতি করিতে পারে না । এই পরামুরক্তি শক্তি কাহারও অর্জিত নহে ; স্বষ্টির উপক্রমে বিধাতা এই শক্তি প্রদানেই বিশ্ব সংসার রচনা করিয়াছেন। কেবল ইন্দ্রিয়াদির কথা বলি কেন ? পরমাণু হইতে পরম মহত্তত্ব পর্য্যন্ত সকলেই উক্ত বৃত্তির অনুরোধে অবশ ভাবে অন্তের সহিত মিলিত হইবার জন্ত আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করিতেছে। বিরাট পৰ্ব্বত বায়বীয় অণুসমুদয়ে মিলিত হইবার জন্য রেণু রেণু হইয়া স্বল্প স্বক্ষ বালুক কণায় পরিণত হইতেছে ; আবার বালুকাময় সুহ্ম স্থল্ম অণুসমূহ পরস্পর মিলিত হইয়া কালক্রমে পৰ্ব্বতকারে পর্য্যবসিত হইতেছে। মৃত্তিকা বৃক্ষরূপে এবং বৃক্ষ মৃত্তিকায় রূপান্তরিত হইয়া পরম্পরের সম্মিলনের পরিচয় দিতেছে। চরাচর জগতের প্রত্যেক পদার্থই যে এইরূপে রূপান্তরিত হইয়া পদার্থস্তিরে পরিণত হইতেছে, উহা উক্ত পরামুরক্তির ফল ব্যতিরেকে আর কিছুই নহে। জগৎপিতা জগদীশ্বর স্বষ্টিকালে স্বই পদার্থ সমূহে এমূন একটা অভাব রাখিয়াছেন, বাহ সাৰ্ব্বভৌম ও সাতিশয়