পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি ృరి ക്ഷബം عطار عطععاعی تعادت متعسعه. সুপষ্ট । এই অভাবের পূরণার্থ স্থাবর জঙ্গম যাবতীয় পদার্থ পরস্পরকে আলিঙ্গন করিতেছে এবং যখন আলিঙ্গিত পদার্থে অাশা পূর্ণ হইল না স্পষ্ট বুঝিতে পারিতেছে, তখনই আবার তাহা হইতে বিশ্লিষ্ট হইয়া পড়িয়া অন্ত পদার্থের জন্ত আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করিতেছে। প্রাকৃত সকল বস্তুই সেই অদ্বিতীয় অভাবের দ্বারা স্বল্প ; সুতরাং জগতের অভাবময় কোন পদার্থদ্বারা কাহারও কোন অভাব দূরীভূত হইবার নহে। অন্তের নিকট স্বীয় অভাব পূরণার্থ গমন করিলে যে পরিমাণে অভাবের পূরণ ঘটে, তদপেক্ষা অধিক পরিমাণে অপরের অভাব পূরণ করতঃ আপনাকে অন্তঃসারশূন্ত হইতে হয়। প্রেম বা স্নেহজনিত সুখের পূরণার্থ পত্নী বা পুত্রে সঙ্গত হইলে যে পরিমাণে আনন্দ নিজের সংগৃহীত হয়, তদপেক্ষা সহস্ৰগুণ যত্নদ্বারা পুত্ৰকলত্রাদির ভরণপোষণে আপনাকে অসার ও ভগ্নোস্তম হইতে হয়। অতএব ভাবময় প্রাকৃত পদার্থদ্বারা কাহারও স্বাভাবিক অভাব দূর হইবার নহে। তবে, যিনি অভাব দিয়া জগৎ স্থষ্টি করিয়াছেন, তাহার নিকটেই ইহার প্রতিকারের ঔষধ আছে । অভাব পুরণার্থ ইন্দ্রিয়বর্গের এই স্বাভাবিকী বৃত্তিই আসক্তি বা ভক্তিনামে অভিহিত হইয়া থাকে। অভাববিশিষ্ট প্রাকৃত পদার্থের প্রতি ইন্দ্রিয়াদির গতি হইলে তাহাকে আসক্তি এবং সৰ্ব্বাভাব-বর্জিত অখণ্ডানন্দস্বরূপ ভগবানের প্রতি উহাদিগের গতি হইলে তাহাকে ভক্তি বলা যায়। জীবের ইঞ্জিয়বর্গ মায়াময় নশ্বর জগতে ধাবিত হইয়া কুত্ৰাপি চিরস্থায়ী তৃপ্তি লাভ করিতে পারেন ; উহারা সন্তোষ লাভের জন্য আপাত-সুখকর কোন পদার্থে আসক্ত হয় বটে, কিন্তু যখনই তাহাতে স্বকীয়তৃপ্তি লাভের অভাব অনুভূত হয়, অমনি তাহা হইতে বিরত হইয়া অন্ত পদার্থের মিলন আকাঙ্ক্ষা করে। জীব পূর্ণ মুখের কাঙ্গাল, সে সুখ সে ভোগ করিয়াছে ; পূর্ণানন্দময়ের আংশিক জগতে সে কোন পদার্থেই সে মুখ পায়না, তাই