পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৩১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२६s२ প্রেমিক-গুরু সাধন প্রণালী প্রভূতি জানিতে হয়। কিন্তু সত্য প্রত্যক্ষ না করিয়া গুরু হইবার স্পদ্ধা এবং শাস্ত্রালোচনা করা বিড়ম্বন মাত্র। এই শ্রেণীর লোকদ্বারাই হিন্দু-সমাজ অধঃপাতে গিয়াছে । অনধিকারী হইয়া যাহারা শাস্ত্র ব্যাখ্যা ও ধৰ্ম্মপ্রচার করে, তাহার দেশের, দশের, সমাজের ঘোর শত্র । সত্য লাভ না করিয়া শাস্ত্র পাঠ করিতে গেলে শাস্ত্রের নিগুঢ়াৰ্থ নির্ণয় ও তাহার মৰ্ম্ম রহস্ত ভেদ করিতে সমর্থ হওয়া যায়না । হিন্দুশাস্ত্র অনন্ত ; সৰ্ব্বাধিকারী জনগণকে স্থান দিবার জন্য প্রবৃত্তি পথে শত শত শাখা প্রশাখায় বিভক্ত হইয়া,নিবৃত্তিপথে স্তরে স্তরে অনন্ত দেশে উঠিয়া গিয়াছে । সুকুমার কুমারগণের সুকোমল হৃদয়ে ধৰ্ম্মবীজ বপনের জন্য বর্ণাশ্রমোচিত ব্ৰত নিয়ম হইতে ব্রহ্মগত ৫ গুণ নিরাকার ব্রহ্মোপাসকের সন্ন্যাস পর্য্যস্ত হিন্দু ধৰ্ম্মের দেহ । গুরুকৃপ{য় প্রকৃত জ্ঞান না হইলে শাস্ত্র পাঠ করিয়া তাহা বুঝা যায়না । কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে শাস্ত্র ও সর্বপ্রকার সাধনের মুথ্য উদ্দেশ্য এবং ফলও এক । তবে উদ্দেশ্যপথে যাইবার পদ্ধতি বা গুণালী বিভিন্ন হইতে পারে । শাস্ত্র সকল সত্যদর্শী ঋষিগণের রচিত ; সত্য এক, সুতরাং শাস্ত্র সকল কি পরস্পর ভিন্ন ও বিসম্বাদী হইতে পারে ? কিন্তু অনধিকারী স্থল বুদ্ধিতে শাস্ত্রালোচনা করিয়া পরস্পর বিভিন্ন দেখিয়া থাকে । তাই আজ একই শাস্ত্রের পাচজনে আপনার সংস্কার ও শিক্ষানুরূপ পাচপ্রকার ব্যাখ্যা করিয়া হিংসাবিদ্বেষের বহ্নিতে সমাজ দগ্ধ করিতেছে । এক অধিকারীর উপদেশ অন্ত অধিকারীর নিকট,—গৃহস্থের উপদেশ সন্ন্যাসীকে আবার সন্ন্যাসের উপদেশ ব্রহ্মচারীর নিকট ব্যক্ত করিয়া হিন্দুসমাজকে উন্মাৰ্গগামী করিয়া তুলিয়াছে। সাধারণ লোক এই সকল শাস্ত্র ব্যাখ্যাত ও উপদেশদাতা প্রচার কর্তাগণের বিভিন্ন মতবাদের আবর্তে পড়িয়া হাবিডুবি খাইয়া মরিতেছে । অতএব সত্যলাভ না করিয়া কখনও শাস্ত্রের গোলক ধাধায় প্রবেশ করা কৰ্ত্তব্য নহে ; তাহা হইলে আর এ জীবনে বাহির