পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মুক্তি ❖ማ পদদলিত হইয়া যাইবে । আমিত্বের একটা শৃঙ্খলে রাজা প্রজা, দীনদরিদ্র, ব্রাহ্মণ চণ্ডাল, এমন কি পশুপক্ষী কীট পতঙ্গ পৰ্য্যস্ত বাধা পড়িবে। তখনই প্রকৃত সমাজ প্রতিষ্ঠত হইবে। তখন তোমরা একতার হার গলে পড়িয়া বিশ্বজয় করিতে সক্ষম হইবে । পঠিত শিক্ষায় গঠিত জীবন না হইলে সে শিক্ষার নামে যে ধিক্কার পড়িবে। অতএব প্রথমতঃ শিক্ষালাভ করিয়া তদনুযায়ী চরিত্রগঠন কর। তৎপরে সাধু শাস্ত্রের কৃপায় এবং সাধনাবলম্বনে সত্য লাভ করিয়া কৃতাৰ্থ হইয়া জগতের হিতে জীবন উৎসর্গ করিও । কাহারও নিন্দ না করিয়া—অনর্থক সমালোচনা না করিয়া পাপী, তাপী, ব্রাহ্মণ-চণ্ডাল, স্ত্রী পুরুষ নিৰ্ব্বিশেষে শিক্ষা দাও,—সকলকে স্কন্ধে বহন করিয়া আধ্যাত্মিক রাজ্যের বন্ধুর সিড়িগুলি পার করিয়া দাও । কাহারও বিশ্বাস নষ্ট না করিয়া পারত তোমার নূতন দ্রব্যগুলি তাহাকে দান কর । চ'থে আঙ্গুল দিয়া দেখাইয়া দাও, আমরা সকলেই এক পিতার সস্তান, এক পথের যাত্রী, সকলেই একই স্থানে গিয়া বিশ্রাম লাভ করিব । ক্রমশঃ দেখিবে জগৎ হইতে হিংসাদ্বেষ বিদূরিত হইয়া প্রেমের বন্ধনে সকলে বাধা পড়িবে। একতার পবিত্র বন্ধনে-প্রেমের সুধা সম্পৃক্ত মলয়হিল্লোলে সমাজ সঞ্জীবিত হইয়া উঠিবে। তাহা হইলে অচিরে হিন্দুধৰ্ম্মের বিজয়পতাকা ভারত গগনে উড্ডীয়মান হস্তবে, আবার হিন্দু দেশের ও হিন্দুজাতির গৌরবরব দিগ দিগন্তে প্রতিধ্বনিত হইবে । পাঠকগণ ! ভারতের সুবর্ণযুগে দেবকল্প ঋষিগণ সাধনা-পৰ্ব্বতের সমাধিরূপ উন্নত শৃঙ্গে বসিয়া জ্ঞানের দীপ্তবহ্নি প্রজ্জ্বলিত করিয়া যে সকল নিত্যসত্য আধ্যাত্মিক তত্ত্বাবলী আবিষ্কার করিয়াছিলেন, তাহারই সুধাময় ফল হিন্দুশ্রাস্ত্র । সেই আৰ্য্য ঋষিগণের তপঃপ্রভাবে জানিত ও লোকহিতার্থ প্রচারিত অমূল্য শাস্ত্র অগ্রাহ্য পূর্বক স্বকপোল কল্পিত ধৰ্ম্মমতের অসারভিত্তি অবলম্বন করিয়া স্বদেশের স্বজাতির ও স্বধৰ্ম্মের কলঙ্ক রটন