পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি (*○ সাধুসঙ্গে ভগবদগণ-গানশ্রবণ করিলে ক্রমশঃ আসক্তি বাড়িৰে ও ভক্তি দৃঢ় হইবে। তাই মহাপ্রভু শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব শ্ৰীমুখে বলিয়াছেন ;— ব্যাবৃত্তোপি হরে চিত্তং শ্রবণাদে যতেৎ সদা । ততঃ প্রেম তথাশক্তিবর্ব্যসনঞ্চ যদা ভবেৎ ॥ সাধুসঙ্গের প্রভাব অতি আশ্চৰ্য্য। সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর যোগ তপস্তা করিয়া যাহা লাভ না হয় একবার সাধুসঙ্গ করিলেই তাহা লাভ হয়। সাধুদিগের দর্শন মাত্রই সমস্ত পাপ হইতে মুক্ত হওয়া যায়। যথা – ~ গীতায়াঃ শ্লোকপাঠেন গোবিন্দস্থতিকীৰ্ত্তনাৎ ॥ সাধুদৰ্শনমাত্রেন তীর্থকোটিফলং লভেৎ ॥ —কাশীখণ্ড । গীতার শ্লোকপাঠ করিতে হয়, গোবিন্দ নাম স্মরণ করিতে হয়, তবে পাপ বিনষ্ট হয় ; কিন্তু সাধুদিগের দর্শন মাত্রই কোটি কোটি তীর্থের ফল লাভ হয় এবং সৰ্ব্বপাপ দূর হয়। সাধুদিগের উচ্ছিষ্ট ও পদধূলি-পাদোদক গ্রহণেও জন্মান্তরীণ পুঞ্জীকৃত পাপের ধ্বংস হইরা থাকে। সুতরাং সাধুসঙ্গই ভগবস্তুক্তি উৎপত্তির মূল কারণ। সাধুগণের সভায় হৃৎকর্ণ-রসায়ণ সতত ভাগবত কথার আলোচনা হয়, সেই প্রাণারাম ভগবৎ-কথামৃত যতই শ্রবণকে পবিত্র করিতে থাকে, ততই ভক্তিমার্গে ক্রমশঃ শ্রদ্ধা, রতি, প্রেম প্রভৃতির উদয় হয়। অতএব সৎসঙ্গই ভগবস্তুক্তির জনক, পোষক, বিবৰ্দ্ধক ও রক্ষক । সৎসঙ্গের দ্যায় ভগবদ্ভক্তিলাভ করিবার প্রকৃষ্ট উপায় আর নাই। সাধুর দর্শন স্পর্শনে তাহার সাৰিক পরমাণু সাধারণের তামস পরমাণুকে অভিভূত করিয়া ফেলে—সুতরাং অচিরে ভক্তির সঞ্চার হইয়৷ থাকে। কুমরিকা পোকা যেমন অন্ত পোকাকে আপনার মত করিয়া