পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tS প্রেমিক-গুরু লয়, তেমনি সাধুগণও অন্ত ব্যক্তিকে অচিরে সাধুর বরণ ধরাইরা লন। কত পাষণ্ড নাস্তিক যে সাধুসংসর্গে অমর জীবন লাভ করিয়াছে, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। সাধুসঙ্গের গুণে মহাপাপীর কিরূপে পরিবর্তন সাধিত হয়, তাহার একটা উদাহরণ দিয়া এ বিষয়ের উপসংহার করুিব । মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্তদেব যখন নীলাচলে অবস্থান করিতেছিলেন, সেই সময়ে কয়েকটী অবিশ্বাসী পাষণ্ড তাহণকে পরীক্ষা করিবার জন্য একটি রূপবতী বেস্তাকে নিযুক্ত করে । শ্ৰীগৌরাঙ্গদেব যে সময় ধ্যানযোগে ভগবানের অতুল সৌন্দর্য্যে ডুবিয়া আছেন, এরূপ সময় বেশ্বাট যাইয়া তাহার আসনে উপবেশন পূৰ্ব্বক তাহার গাত্রে হস্তার্পণ করিল। স্ত্রীঅঙ্গ স্পর্শ হওয়াতে র্তাহার ধ্যান ভঙ্গ হইল । কিন্তু তখনও তিনি একবার চক্ষু মেলিতেছেন—আবার বুজিতেছেন । কখনও ভাবিতেছেন,-সেই সুন্দরতম প্রিয়তমের নিকটেই আছি, কখন ভাবিতেছেন,—এ কোথায় আসিলাম । এরূপ ভাবে কিছুক্ষণ গত হইলে তিনি বুঝিতে পারিলেন যে, নিকটে একটা স্ত্রীলোক বসিয়া আছে। মনে করিলেন, মাতা -- ম৷ শচীদেবী বুঝি আমাকে দেখিবার জন্ত ব্যাকুল হইয়া এখানে আসিয়াছেন । তখন তিনি ঐ বেতার চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করিতে করিতে ’মা’-মা বলিয়া সম্বোধন করিতে লাগিলেন এবং তাহার স্তন ধারণ করিয়া স্তন্ত পান করিতে লাগিলেন । বেগু তাহার ঐ ভাব দেখিয়া—তাহার সংস্পর্শে মোহিত হইয়া বলিল ;–“আমি তোমার মা নহি, আমি দুশ্চারিণী— পাপিয়সী, তোমার ধৰ্ম্ম নষ্ট করিবার জন্য প্রলোভনে মুগ্ধ হইয়া আলিয়াছি । এক্ষণে আমাকে উদ্ধার কর ; নতুবা আমার গতি নাই।” তখন মহাপ্রভু বলিলেন ;– মা ! এ রাজ্যে কাহারও নিরাশ হইবার কারণ নাই। তুমি যে উপায়ে স্বাহ সঞ্চয় করিয়াছ এবং তোমার