পাতা:প্রেমিক গুরু.djvu/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-ভক্তি ૭૧ জগদ্বাসী জীবগণকে সম্প্রদান করিয়াছেন । বৰ্ত্তমান কালের নিতান্তু শক্তিহীন মানব তাহারই অনুকম্পার উপর নির্ভর করিয়া সৰ্ব্বোত্তম প্রেমভক্তি লাভের আশা করিতেছে । বাস্তবিক ঐচৈতন্তের অনুকম্প। ব্যতীত কালগ্রস্ত মানব অন্য কোন উপায়ে পরমপ্রেমের অধিকারী হইতে পরিবে না । শ্ৰীশ্ৰীমন্মহাপ্রভুর যে সকল পারিষদ বহুবিধ ভক্তি শাস্ত্র প্রণয়ন করিয়া প্রেমভক্তি লাভের পথ সুগম করিয়া দিয়াছেন, তাহারা কেহই অপণ্ডিত ছিলেন না । তাহাদিগের বিরচিত গ্রন্থ সমুদায়ই প্তাহাদিগের অপার্থিব জ্ঞান ও অলৌকিক প্রতিভার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। তাহার মধ্যে ঐযুক্ত কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী অন্যতম। তিনি অনপিত প্রেমভক্তির অমৃতসাগরে নিমগ্ন হইয়া যে অসমোন্ধ ভগবন্মাধুৰ্য্য আস্বাদ করিয়াছিলেন, তাহ। ভাবী বংশধরদিগকে উপভোগ করাইবার জন্য তাহার সুগম পন্থা প্রদর্শন করাইয়া ঐশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থ প্রণয়ন করিয়াছেন। অতএব সেই গ্রন্থের প্রামাণিক মহাবাক্য “বাঙ্গালার কবিতা” বলিয়া কেহ যেন উপেক্ষা করিবেন না । কেহ কেহ বৈষ্ণবশাস্ত্রের মৰ্ম্ম বুঝিতে না পারিয়া উহাকে “বৈষ্ণুবা হেঁয়ালি” মনে করিয়া নিজের নাসিকাট কুঞ্চিত করিয়া বসেন। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতের প্রত্যেক কথা দৰ্শন-বিজ্ঞানের সুদৃঢ় ভিত্তিভূমির উপর সংস্থাপিত ; উহ। ডোরকোপীনধারী নেড়ানেড়ীর অজ্ঞান-বিজ স্তিতশূন্তোচ্ছ্বাস নহে। আগে হিন্দুর তন্ত্র, পুরাণ, স্মৃতি, শ্রুতি, দর্শন, উপনিষৎ পাঠ কর, তৎপরে ঐ কোপান-কন্থাধারী বৈরাগীর হেঁয়ালি পাঠ করিতে প্রয়াস করিবে, তথন যদি কিছু বুঝিতে পার। এই ভাবের ভাবুক ভিন্ন অন্তের সে তত্ত্ব বোধগম্য হইবে না । পরমদয়ালু মহাপ্ৰভু প্রেমভক্তি প্রাপ্তির সুগম পন্থা প্রচার করিয়াছেন ; তিনি প্রভুপাদ শ্রীমৎ সনাতন গোস্বামীকে বলিয়াছিলেন,—