পাতা:প্রেম-রহস্য.djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রেম-রহস্ত । ه به পিতা । পুত্ৰ ! আমি অনেকৰুার বলিয়াছি, সংসারা হইলে-বৈষ্ণবাচর হয় না। বৈষ্ণবঙ্গেরী হইতে হইলে সংসার ত্যাগ করিতে হয় । বাস্ত জগৎকে অনিত্য দেখিতে হয়, কামিনী ও কাঞ্চন ত্যাগ করিতে হয়, অহোরাত্ৰ ইষ্টদেবতার নাম লইতে হয়, আত্মোন্নতির পথ অনুসরন করিতে হয়। কিন্তু পুত্র! এই সব স্থক্ষে লইয়া তর্ক করিও না, তাহইলেই সৰ্ব্বনাশ । সৰ স্থলের কথা খালি, অর্থাৎ আচারের কথা বই আরশকছুই নয়। এই সব আচার প্রতিপালন সংসারীর পক্ষে অতি দুরূহ। . কাষ্ঠের বিড়াল যদি ইদুর ধরিত, তাহলে জীয়ন্ত বিড়ালের আর গৌরব থাকিত না। বৈষ্ণব ও শাক্ত আচারের চিছু শ্বেত ও লোহিত, এখন নানরকমের হইয়াছে। কিন্তু গোড়া ঠিক আছে ; অর্থাৎ রঙ ঠিক আছে। _ পুত্র। পিতঃ ! আপনি শাক্ত আচারের বিষয় কিছুই বললেন না। " - পিতা । না পুত্ৰ ! অনেক বলিয়াছি, চিন্তারহস্তর্তে। চিন্তারহস্যটা জ্ঞানকাণ্ড ও ক্রিয়াকাণ্ড ব্যতীত আর কিছুই নয়। চিন্তারহস্যটা দর্পণের স্বরূপ । যিনি যে ভাবে লইবেন, তিনি সেইভাবে পাইবেন। দর্পণের গুণ স্বচ্ছতা, দৰ্পণ” কোন রং ঢং করে না। যিনি করেন, তাহার প্রতিবিম্ব প্রত্যুত্তর দেয়, দর্পণ কিছুই করে না। কিন্তু পুত্র! সমাজধৰ্ম্ম অভাবহেতু, সমাজনিয়ম চিন্তারহস্ততে প্রকাশ্যরূপে বলিতে পারি নাই ?