পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

令 ফিরিঙ্গি বণিক ফলে সেই প্রয়োজন অনুভূত হইতেছে! যে দেশ গ্ৰহণ করিত, সেই দেশ এখন মুক্তহস্তে দান করিতেছে। কিরূপে, কতদিনে, এই অচিন্তিতপূর্ব ভাগ্যবিপৰ্য্যয় সংঘটিত হইল, তাহার ইতিহাস অধ্যয়ন করিবার জন্য কাহার না কৌতুহল উপস্থিত হয় ? সে ইতিহাস সৰ্ব্বথা শোচনীয় হইলেও, শিক্ষাপ্ৰদ । তাহার উপকরণ নিতান্ত অপ্রচুর। কিন্তু পাশ্চাত্য-পণ্ডিতবর্গের অনুসন্ধান-কৌশলে ক্ৰমশঃ নানা বিলুপ্ত তথ্য আবিষ্কৃত হইতেছে ; ঐতিহাসিকগণ ভারতবর্ষের সহিত ম্রেচ্ছদেশের বাণিজ্য-সম্পর্কের পরিচয় প্ৰকাশিত করিয়া, সভ্য-সমাজকে বিস্মিত করিয়া তুলিতেছেন। দিন দিন যে সকল পুরাতত্ত্ব সংকলিত হইতেছে, তাহার গতি কেবল এক দিকেই প্ৰবাহিত ; -এ কালে যেমন প্ৰতীচ্য জনপদ হইতে শিক্ষা-দীক্ষা শিল্প-বাণিজ্য অবিচ্ছিন্ন প্ৰবল প্রবাহে নিয়ত প্ৰাচ্য জনপদের দিকেই অকুতোভয়েs প্ৰধাবিত হইতেছে, সেকালে ইহার বিপরীত অবস্থা বৰ্ত্তমান ছিল । যে সকল প্ৰাচ্য-জনপদ হইতে শিক্ষা-দীক্ষা-শিল্প-বাণিজ্য নিরন্তর প্রতীচ্যে জনপদে প্ৰধাবিত হইয়া, সভ্যতা-বিস্তারে প্রতীচ্যে মানব-সমাজের সমুদ্ৰতি-সাধনের সহায়তা করিয়াছিল, তন্মধ্যে ভারতবর্ষের নাম সৰ্ব্বাগ্ৰে উল্লিখিত হইবার যোগ্য। ভারতবর্ষের সূক্ষ্ম-শিল্প ভারতবর্ষের নাম জগদ্বিখ্যাত করিলেও, তাহার ভৌগোলিক পরিচয় সুদূর পাশ্চাত্য দেশে সকলের নিকট সুপরিচিত করিতে পারে নাই। যে বিষয়ের প্রত্যক্ষ জ্ঞান যত সীমানিবদ্ধ, সেই বিষয়ে কল্পনার প্রাবল্য তত অধিক হইয়া পড়ে। ভারতবর্ষের পক্ষেও তাহাই হইয়াছিল । অধিকাংশ পাশ্চাত্য-দেশে ভারতবর্ষ অলৌকিক রত্নভূমি বলিয়া পরিচিত হইয়া উঠিয়াছিল। কি এসিয়া, কি ইউরোপ, যে কোনও মহাদেশের সমৃদ্ধ জনপদ পুরাকালে পাশ্চাত্যসমাজে সুপরিচিত হইয়াছিল, সকল জনপদই ভারতবর্যের পণ্যদ্রব্য