প্ৰথম পরিচয় s বাণিজ্যলক্ষ্মী ভস্মীভূত হইবার উপক্রম হইল। জলে স্থলে হিংসাম্বেষ ও পারস্বপহরণ প্রবল হইতে লাগিল। এই সময়ে পর্তুগাল হইতে যে সকল বাণিজ্যতরণী সমাগত হইয়াছিল, তাহাদিগকে রক্ষা করিবার জন্য কোচীন-রাজ যত্ন করিতে লাগিলেন ; কালিকট-রাজ তাহদের ধ্বংসসাধন করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইলেন। পর্তুগালের বাণিজ্যতরণী কোনরূপে পর্তুগালে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবামাত্র পর্তুগালরাজ কালিকট ধ্বংস করিয়া, অন্যান্য বন্দরের সহিত বাণিজ্য করিবার জন্য কৃতসংকল্প হইলেন । ১৫০২ খৃষ্টাব্দে পুনরায় ভাঙ্কো ডা গামা সসৈন্যে ভারত যাত্ৰা করিলেন । এবার কেবল ভারতবর্ষে যাতা:াতের অভিনব শুল্লাপথের আবিষ্কারকামনা তাহাকে ভারত-যাত্রায় উৎসাহ যুক্ত করে নাই ; এবার বৈরানিৰ্য্যাতনের প্রবল উত্তে জনায় পর্তুগীজ সেনাপতির ধৰ্ম্মবুদ্ধি বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল । গামা ভারতবর্ষের নিকটবৰ্ত্তী হইবামাত্র, কালিকট আক্রমণ করিয়া, নগর-প্রাচীরের উপর গোলাবর্ষণ করিতে লাগিলেন ; বন্দরের মুসলমান বণিশ্বর্গের বাণিজ্য ভরণী ভস্মীভূত করিয়া ফেলিলেন, মালবারের অন্যান্য বন্দরে উপনীত হইয়া, কুঠী সংস্থাপিত করিয়া, একটি কুঠতে গোপনে গোলা, বারুদ ও কামান ভূগর্ভে প্রোথিত করিয়া রাখিলেন ; এবং তীর রক্ষার্থ রণতরণী সংস্থাপিত করিয়া, কালিকােটর রণতরুণীসমূহ আক্রমণ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। ভাস্কো ডা গামা ঘেন দুৰ্দান্ত জলদৈত্যের মত সৰ্ব্বত্র ধাবিত হইতে লাগিলেন। কালিকািটর রণতরুণী পরাভূত হইল। কালিকট রাজের নৌসেনা গামার নিকট বন্দি-বেশে আনীত হইল। গামা ৮০০ বন্দীর নাসা কৰ্ণ ও হস্তদ্বয় ছেদন ক্য-সুিখ’ তাহা উপঢৌকনস্বরূপ কালিকট রাজকে প্রেরণ করিলেন । হতভাগ্য বন্দিগণ ইহাতেও মুক্তিলাভ করিল না। কাঠফলকের আঘাতে তাহা?ে”, দস্তপঙক্তি উৎপাটিত হইতে লাগিল ! একজন
পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।