५१थभ ट्रिश s করিয়া মিত্ৰতরক্ষার্থ আপন প্রজাবর্গের প্রকৃত অভিযোগেও উপেক্ষা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। মুসলমান বণিগবর্গ প্ৰথমে ফিরিঙ্গি-বণিককে আক্রমণ করেন নাই। তঁহাদের বাণিজ্যতরণী লুষ্ঠিত হইবার পর, তাহারা রাজদ্বারে অভিযোগ উপস্থিত করিয়াছিলেন। রাজা সে অভিযোগে কৰ্ণপাত না করায়, তঁাহারা ফিরিঙ্গি-বণিকের ফুঠী আক্রমণ করায় কুঠিয়ালগণ নিহত হন । বিচার করিয়া দেখিলে, ইহার জন্য কালিকটআক্রমণের পক্ষ সমর্থন করা যায় না। কিন্তু যে যুগে এই সকল ঘটনা সংঘটিত হয়, সে যুগে ইউরোপের বিচারবুদ্ধি মার্জিত হয় নাই ;-তখনও বাহুধলই সকল তর্কের মীমাংসা করিয়া দিত,-তখনও পাশব অত্যাচারই বাহুবলের পরাকাষ্ঠী বলিয়া পরিচিত ছিল । দ্বিতীয়বার ভারতবর্ষে উপনীত হইবামাত্র গামা কালিকট-রাজকে বলিয়া পাঠাইলেন,-মুসলমানগণকে চিরনিৰ্ব্বাসিত না করিলে, কালিকট ধ্বংসপ্রাপ্ত হইবে। হিন্দু নরপতি মুসলমান প্রজাবর্গের বাণিজ্য রক্ষার্থ সৰ্ব্বস্বাস্ত হইতে প্ৰস্তুত না হইলে, কালিকট ধ্বংস প্ৰাপ্ত হইত না । কিন্তু কালিকট-রাজ রাজধৰ্ম্ম বিসৰ্জন দিয়া নগরীষ্মক্ষা করিতে সম্মত হইলেন না । ইহাতেই অনর্থ উৎপন্ন হইল। এই সকল ঐতিহাসিক ঘটনা ধীরুভাবে বিচার করিয়া দেখিলে সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে,- যাহা চরিত্রগুণ, তাহার জন্যই কালিকাটের সর্বনাশ হইয়াছিল ।
পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।