व्यख्द्धि १६ সাগরতটে ক্ষণকাল বিশ্রামলাভ করিয়া, পুনরায় দক্ষিণাবৰ্ত্তে মিশরদেশ পৰ্য্যস্ত প্ৰবাহিত হইত। এই সৰ্ব্বপ্রাচীন স্থল-বাণিজ্যপথের “কাম্পীয় পথ” নামকরণ করা যাইতে পারে। কিন্তু ইহার প্রধান লক্ষ্য ভূমধ্যসাগর বলিয়া, ইহাকে “ভূমধ্যসাগর-পথ” বলিলেই সুসঙ্গত হয়। এই পথে ভারতবর্ষের বাণিজ্যদ্রব্য কেবল কাস্পীয় হ্রদ, কৃষ্ণসাগর, বা ভূমধ্যসাগরতীরে প্রবাহিত হইয়াই নিরস্ত হইত না ; তথা হইতে আধুনিক ইউরোপের সকল দেশেই নানা পথে প্রবাহিত হইয়া, পশ্চিম এসিয়া, উত্তর-আফ্রিকা ও সমগ্ৰ ইউরোপের সহিত ভারতবর্যের অবিচ্ছিন্ন বাণিজ্যসূত্র বন্ধন করিয়া দিত। ভারতবর্ষ যে এই পুরাতন বাণিজ্য-পথে কত দেশের ধনাহরণ করিয়া সমৃদ্ধিলাভ করিত, তাহার সংখ্যা নির্ণয় করা যায়ু না । অন্যান্য দেশের উদ্যমশীল বণিক-সম্প্রদায় ভারতীয় বণিকৃদিগের নিকট হইতে পণ্যদ্রব্য ক্রয় করিয়া লইয়া, তাহা জলে স্থলে বিবিধ পথে বিবিধ দেশে বিক্রয় করিয়া ধনশালী হইত । স্কুল-বাণিজ্য- পথ অতি পুরাকাল হইতে ভারতবর্ষের নিকট সুপরিাচিত ও সুনিশ্চিত হইলেও, এই পথে পণ্যদ্রব্য বহন কবি বার অসুবিধার অবধি ছিল না । কখন শকটে, কখন নৌকায়, কখন অশ্ব বা উষ্ট্র-পৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া, কখন নিবিড় অরণ্যে, কখন দুৰ্লঙ্ঘ্য গিরিসঙ্কটে, কখন বা উত্নপ্ত মরুমরীচিকায় পরিশ্রাস্ত হইয়া, বণিকেরা অতি অল্প দ্রব্যই স্থলপথ বহন করিতে পারিতেন । তাহাও আবার দাসু্য-তস্করের আক্রমণ ও লুণ্ঠন-ভয়ে অল্প বায়ে সম্পন্ন হইত না । জলপথ নিয়ত তরঙ্গসংস্কুল, অপরিচিত ও অনিশ্চিত । কখন সুধীর সমীরণ, কখন বা প্ৰবল প্রভঞ্জন তাহাকে নিরতিশয় অব্যবস্থিতচিত্ত মহাদৈত্যের মত পরাক্রমশালী করিয়া রাখিয়াছে। তথাপি নৌবিদ্যাবিশারদ নাবিকগণের চালান-কৌশলে স্থলপথ অপেক্ষা জলপথই সমধিক লাভের পথ বলিয়া পরিচিত হইয়াছিল । এই পথ ভারতবর্ষের পশ্চিম উপকূল হইতে পারস্য, আরব ও মিশর দেশের
পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।