Soos ফিরিঙ্গি-বণিক করিবার আশায় প্রাণপণ করিতেন, ভ্ৰাতৃঘাতক রাজভ্ৰাতা তাহাই ফিরিঙ্গি-বণিককে দান করিয়া, সিংহাসন লাভ করিলেন । কোচিনীরাজ প্রলোভনে পড়িয়া অসময়ে আশ্রয়দান না করিলে, ফিরিঙ্গি-বণিকের পক্ষে ভারত-বাণিজ্যে একাধিপত্য-লাভ কখনও সহজ হইত না । ফিরিঙ্গির বাহুবলে একবার কালিকটের সিংহাসন লাভ করিতে পারিলে, ক্ৰমে ক্ৰমে ভারতবর্ষের একছত্র সম্রাট হইতে পারি।-- বেন, এই প্রলোভনে প্ৰলুব্ধ হইয়াই কোচিন-রাজ স্বদেশদ্রোহে লিপ্ত হইয়া, কালিকটের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করিয়াছিলেন । উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য ফিরিঙ্গি-বণিক তঁহাকে প্ৰলুব্ধ করিতে ত্রুটি করেন নাই। উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইয়া গেল, কোচিন রাজের স্বদেশদ্রোহাই সার হইল। কালিকটের রাজসিংহাসনে আর এক জন স্বদেশদ্রোহী উপবেশন করিলেন । তখন মৰ্ম্মাহত কোচিন-রাজ পর্তুগালের অধিপতির নিকট আবেদনপত্র প্রেরণ করিতে প্ৰবৃত্ত হইলেন। এই আবেদনপত্ৰ এখন ইতিহাসপাঠকগণের নিকট সুপরিচিত হইয়াছে। স্বাৰ্থসিদ্ধির জন্য বিদেশের লোকে যে সকল অলীক আশায় ভারতবর্ষের নগণ্য ব্যক্তিগণকে প্ৰলুব্ধ করিয়া, তঁহাদের সহায়তায় শক্তিবিস্তার করিয়া লইয়া, তাহাদিগকে জীৰ্ণ বস্ত্ৰবৎ অকাতরে পরিত্যাগ করিয়াছেন, তাহদের কথা ভারতবর্ষের ইতিহাসে পুনঃপুনঃ লিখিত রহিয়াছে। কোচিন-রাজ তাহার প্রথম পাত্ৰ বলিয়া তাহার আবেদনপত্ৰখানি উল্লিখিত হইবার যোগ্য। ১৫১৩ খৃষ্টাব্দে কোচিন-রাজ যথাবিহিত সন্মানপুরঃসর প্রবলপ্রতাপান্বিত শ্ৰীল শ্ৰীযুক্ত পর্তুগাল-রাজকে লিখিয়া পাঠাইলেন,-“আপনি আমাকে সমগ্ৰ ভারতবর্ষের সম্রাট সাজাইয়া উপহারস্বরূপ স্বর্ণমুকুট প্রেরণ করিয়াছিলেন । আপনার প্রতিনিধি মহাশয় আমার অভিষেকক্রিয়া সুসম্পন্ন করিয়া, আমাকে সমগ্ৰ ভারতবর্ষের অধিপতি করিয়া দিবেন। বলিয়া শপথ করিয়াছিলেন । আমার বিরুদ্ধে কেহ মস্তকোত্তোলন
পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।