পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 8२ ফিরিঙ্গি-বণিক । হইয়া থাকে। তখনও মোগলশাসন সংস্থাপিত হয় নাই ; তখনও দাক্ষিণাত্যের গৃহকলহ প্ৰবল প্ৰতাপে বর্তমান ; তখনও জলে স্থলে কেবল বাহুবলেরই প্রাধান্ত। ফিরিঙ্গি-বণুিক তাহার সন্ধানলাভ করিয়াই ভারত-বাণিজ্যের একাধিপত্য অধিকার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । পর্তুগালের অধীশ্বর ভারত-বাণিজ্যের সর্বময় প্ৰভু বলিয়া ইউরোপে সুপরিচিত হইয়াছিলেন। পোপের আদেশপত্রের মৰ্ম্মানুসারে তঁাহার শাসনক্ষমতা কেহই অস্বীকার করিতে সাহস করিতেন না । পর্তুগালরাজ এইরূপে যে বাণিজ্যনীতি সংস্থাপিত করিয়াছিলেন, তাহাতে ফিরিঙ্গির বাণিজ্যকে রাজকীয় বাণিজ্য বলিতে পারা যায়। রাজার নামেই সকল কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহিত হইত। যাহারা ভারত্যযাত্ৰা করিত, তাহার রাজার কৰ্ম্মচারিরূপে নিযুক্ত হইত। তাহাদিগকে এই কাৰ্য্যে উৎসাহিত করিবার আশায় পর্তুগাল-রাজ এক প্রবল প্রলোভনের অবতারণা করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন । যাহারা অর্ণবপোতে আরোহণ করিয়া রাজকীয় বাণিজ্য-বিস্তারের জন্য ভারতবর্ষে গমন করিত, তাহারা সকলেই পদমৰ্য্যাদা-অনুসারে কিছু কিছু পণ্যদ্রব্য আনয়ন করিয়া ইউরোপে বিক্রয় করিতে পারিত । লোকে এই উপায়ে অতি অল্পকালের মধ্যে প্রভূত ধনোেপাৰ্জন করিতেছে দেখিয়া, সকলেই ভারত যাত্রার জন্য আগ্ৰহ প্ৰকাশ করিতে লাগিল । ইহাতে প্ৰথমে পর্তুগাল-রাজের লাভ হইলেও, পরিণামে সৰ্ব্বনাশ সংঘটিত হইবার সুত্রপাত হইল । রাজার ন্যায় রাজমন্ত্রিবর্গও ভারত-বাণিজ্যে অর্থে পাৰ্জন করিবার আশায়, কৰ্ম্মচারি-নিয়োগের সময়ে গোপনে উৎকোচ গ্ৰহণ করিতে শিক্ষা করিলেন । যাহারা এইরূপে রাজকৰ্ম্মচারী হইয়া ভারতবর্ষে আসিতে লাগিলেন, তাহারাও সৰ্ব্বাগ্ৰে আত্মোদর পূর্ণ করিবার জন্যই ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন। ধৰ্ম্মধৰ্ম্মের যাহা কিছু পার্থক্য ছিল, তাহাও