te ফিরিঙ্গি বণিক ছিলেন, তাহাও ইউরোপীয় বিবিধ ভাষায় অনুদিত হইয়া, সভ্যসমাজের নিকট সুপরিচিত হইয়ছে। তাহাতে পুরাতন জল-বাণিজ্যপথের বিশেষ বিবরণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। ইবন বতোতা পুথিবীতে পাঁচটিমাত্র বাণিজ্যপ্ৰধান প্ৰসিদ্ধ বন্দর দেখিতে পাইয়াছিলেন । একটি কৃষ্ণসাগরতীরে ; একটি মিশর-দেশে ; একটি চীন-সাম্রাজ্যে ; এবং দুইটি ভারতবর্ষের মালাবার-উপকূলে । তন্মধ্যে একটি “কালিকট” নামে ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হইয়া রহিয়াছে । এই সকল বন্দর প্রাচ্য-বাণিজ্যের বিজয়গৌরবে ভারতবর্যের নাম সমুজ্জল করিয়া রাখিয়াছিল । সেকালের বাণিজ্যের কথা কেবল ভারতবর্ষের কথায় পৰ্য্যবসিত হইয়াছিল। ভারতবর্ষে যে সকল পণ্যদ্রব্য উৎপাদিত হইত, তা হ্রাস্ত্র একাংশ প্ৰশান্ত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জে ও চীন-জাপানাদি সুদূর দেশে প্রেরিত হইত, অপরাংশ প্রতীচ্যে রাজ্যে প্রেরিত হইত। যাহা পূৰ্ব্বাঞ্চলে প্রেরিত হইত, তাহার বিনিময়ে পূৰ্ব্বাঞ্চলের বিবিধ পণ্যদ্রব্য আনীত হুইয়া, তাহাও পশ্চিমাঞ্চলে প্রেরিত হইত। ভারতবর্ষ কাহারও নিকট ক্রয় করিত না ; পূৰ্ব্বে পশ্চিমে আপন পণ্যদ্রব্য বিক্রয় করিত ; এবং পূৰ্ব্বাঞ্চল হইতে সংগৃহীত KDDDDDL gBBDDB DBBDB DBDDSDDDDDDLDBD gBDBBDD S BDBBu কিরিত । এই বাণিজ্য-ব্যাপারে স্থলপথ অপেক্ষা জলপথেরই প্রাধান্যঃ সংস্থাপিত হইয়াছিল । তজ্জন্য মিশৱদেশের ন্যায় সিংহল দ্বীপও প্ৰাচ্যপ্রতীচ্যের সম্মিলনক্ষেত্ৰ বলিয়া সুপরিচিত হইয়াছিল। ইসলাম ইহার ংশ ভোগ করিবার জন্য সমুদ্রপথে শীঘ্রই প্রাধান্তলাভে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিল। প্রশান্তমহাসাগরের যে সকল দ্বীপপুঞ্জ একদা শৈব ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের শঙ্খ ঘণ্টা-নিনাদে মুখরিত ও ধূপ-গুগৃগুল-গন্ধে আমোদিত হইয়া শিক্ষা-দীক্ষা, ভাষা-সাহিত্য ও আচার-ব্যবহারে, দ্বীপবাসীগণকে ভারতীয় সভ্যতায় সমুন্নত করিয়া, ভারতবর্ষের বাহিরে বৃহত্তর ভারতবর্ষের সৃষ্টি করিবার আয়োজন করিতেছিল, সেখানে ক্ৰমে ক্ৰমে ইসলামের
পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।