भश्iयहां e তথাপি ইমানু্যায়েল অবিচলিত-হৃদয়ে সংকল্পসাধনে অগ্রসর হইয়াছিলেন। তঁহার আদেশে “সান গাব্রিয়েল” এবং “সান রাফেল” নামক দুইখানি অর্ণবপোত সজীভূত হইল। একালের তুলনায় তাহা নিতান্ত ক্ষুদ্র হইলেও, সেকালের তুলনায় তাহাই সুবৃহৎ বলিয়া বিবেচিত হইয়াছিল। তাহার সহিত দ্ৰব্য-ভাণ্ডার বহন করিবার জন্য আর দুইখানি ক্ষুদ্র পোত সংযুক্ত হইল। ১৪৯৭ খৃষ্টাব্দের ৮ই জুলাই শনিবার ইউরোপের ইতিহাসের একটি স্মরণীয় দিন। এই দিন টেগদ-নদীর তীরভূমি অপূর্ব শোভায় উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। সমবেত জনসমূহের সম্মুখে সমুচিত সমারোহে ব্লাজাজ্ঞা বিঘোষিত হইল। স্বদেশের পবিত্ৰ তটতল চুম্বন করিয়া, ভাস্কো ডা গামা ১৬০ জন নাবিক লইয়া ভারত-যাত্রায় বহির্গত হইলেন । ধৰ্ম্মযুদ্ধোন্মত্ত অশান্ত বীরপুরুষের উচ্ছঙ্খল হৃদয়বেগে অধীর হইয়াও ভাস্কো ডা গামা কাতর-হৃদয়ে বিশ্ববিধাতার কৃপা ভিক্ষা করিয়া রজনী অতিবাহিত করিয়াছিলেন । রাজকুমার হেনরী টেগসূ-তীরে যে ধৰ্ম্ম-মন্দির নিৰ্ম্মিত করিয়া নাগরিকগণকে অজ্ঞাত সমুদ্রযাত্রায় উৎসাহদান করিতেন, সে দিন। সেই পবিত্র মন্দিরের ঘণ্টানিনাদে জলস্থল মুখরিত হইয়া উঠিয়াছিল। যাহার এইরূপে ভারত-যাত্রায় বহির্গত হইল, তাহারা পূর্বেই পথের সন্ধান প্ৰাপ্ত হইয়াছিল । তাহারা জানিত,-আফ্রিকার পশ্চিম তট আশ্ৰয় করিয়া দক্ষিণাভিমুখে পোতচালনা করিলে, স্থলভাগের শেষ সীমায় উপনীত হইবে। সেই সীমা পূর্বেই আবিষ্কৃত, এবং “উত্তমাশা অন্তরীপ” নামে সুপরিচিত হইয়াছিল। অন্তরীপ অতিক্ৰম করিলেই ভারত-মহাসাগর। তাহাতে পতিত হইয়া, আফ্রিকার পূর্বতটি আশ্রয় করিয়া, উত্তরাস্যে কিয়দার অগ্রসর হইতে পারিলেই, প্রাচ্য বাণিজ্যপোতের চিরপরিচিত ভ্রমণপথ প্রকাশিত হইবে। কলম্বসের সম্মুখে
পাতা:ফিরিঙ্গি-বণিক্.djvu/৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।