পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১১৭

করিলাম, যদি কেহ তাহাকে সুশিক্ষা দিয়া বাধ্য রাখে, তবে কি জানি সে চতুর ও উত্তম বালক হইয়া উঠিতে পারে। আমি লোকদের মুখে শুনিয়াছিলাম করুণার এক জন বড় সন্তানও আছে, অতএব মনে করিলাম, যদ্যপি এই দুই জন বালককে কোন কর্ম্ম দিয়া উদ্যোগী ও পরিশ্রমী করাইতে পারি, তবে তদ্দ্বারা তাহাদের কিছু লাভ হইতে পারে, এবং তাহাদের দুঃখিনি মাতারও উপকার সম্ভাবনা হয়। এই জন্যে আমি মনে স্থির করিলাম, করুণা ইহাতে স্বীকৃতা হইলে আমি তাহার দুই পুত্ত্রকে নিজ বাটীতে আনিয়া বেহারার এবং খানসামার কর্ম্ম শিক্ষা করিতে দিব।

 এমত অভিপ্রায়ে আমি এক দিবস করুণার গৃহে যাইয়া উপস্থিত হইলাম। হায়২! সেখানে কেমন খেদজনক ব্যাপার দৃশ্য হইল। করুণা আপন দ্বারের শিড়ীর উপরে বসিয়া অতিশয় ক্রন্দন করিতেছিল, এবং তাহার মস্তকের একটা বড় ক্ষতহইতে দুই গাল বহিয়া রক্ত পড়িতেছিল। সে আমাকে দেখিবা মাত্র বলিতে লাগিল, আ! মেম সাহেব, আজি আপনি ভাল সময়ে আসিয়াছেন। আমার এই দুর্দশা আপনি স্বচক্ষে দেখি-