পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১১৯

তাহারা সকলে কিঞ্চিৎ মত্ত ছিল, তাহাতে আমার স্বামী বড় রাগান্বিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, ও গো, ভাত তৈয়ারি আছে কি না? আমি উত্তর দিলাম, চারিটার সময়ে কি ভাত হয়? মাতাল হইয়া কি বলিতেছ, তুমি তাহা জান না; আর তুমি কে, যে তুমি ভাত চাহিতে আসিয়াছ? খরচের নিমিত্তে তুমি কি পয়সা দিয়াছিলা? সে এই কথা শুনিয়া কোটা মাছের চুপ্‌ড়িকে মাছ সুদ্ধ লাথি মারিয়া নর্দমাতে ফেলিয়া কহিল, তুই এমত কথা বলিস? আমি যদি পয়সা না দিই, তবে এই মাছ কি প্রকারে আপনার জন্যে যোগাইয়া রাখিয়াছিলি? আমাকে এই রূপে ভর্ৎসনা করিয়া সে আপন মাতওয়ালা সঙ্গিদের প্রতি ফিরিয়া কহিল, চল ভাই, আজি আমাদের পয়সার অভাব নাই; অতএব এ বেটী যদ্যপি খাইতে না দিল, ভাবনা কি? অন্য স্ত্রীলোকদের সহিত আমাদের পরিচয় আছে কি না? এই কথা কহিয়া সে আমাকে অত্যন্ত মারিল, পরে তাহারা সকলে চলিয়া গেল।

 আমি ইহা শুনিয়া জিজ্ঞাসিলাম, করুণা, তোমার স্বামী মাছ ফেলিয়া দিলে তুমি কি তাহাকে কিছু কহিলা না? করুণা উত্তর করিল, হাঁ