পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১8০

 এই ধার্ম্মিক পরিবারের সদ্ব্যবহার ও সুখ দেখিয়া করুণার দুঃখের অবস্থা আমার স্মরণ হইল, তাহাতে আমি মনোমধ্যে বিবেচনা করিলাম, ঈশ্বরের সেবকেরা নিতান্ত সুখদায়ক পথে ভ্রমণ করে, এবং তাহাদের সকল গতি শান্তিকর; কিন্তু “যে সমুদ্র কখন স্থির হইতে পারে না, ও যাহার জলেতে মল ও কর্দ্দম উঠে, দুষ্ট লোকেরা এমত আলোড়িত সমুদ্রের ন্যায় হয়। ঈশ্বর যথার্থ কহিয়াছেন, পাপিদের কিছুই মঙ্গল নাই।” যিশয়িয় ৫৭।২০, ২১।

 তদনন্তর ফুলমণি কিঞ্চিৎ ভাবিতা হইয়া বলিতে লাগিল, বেলা গেল, আজি ছেল্যারা পাঠশালাহইতে ফিরিয়া আইসে না কেন? এই কথা শুনিয়া প্রেমচাঁদ দ্বারের বাহিরে গিয়া তাহাদের অপেক্ষায় দাঁড়াইয়া রহিল। কিছুকাল পরে সে অতিশয় বিষণ্ণ বদন হইয়া ভিতরে আসিয়া হঠাৎ মঞ্চহইতে এক গাচা বেত্র নামাইল, এবং তাহা হাতে করিয়া শীঘ্র দৌড়িয়া বাহিরে গেল। ইহাতে আমরা জ্ঞাতা হইলাম, যে সে অবশ্য কোন অসন্তোষক ঘটনা দেখিতে পাইয়াছে, কেননা ইহার পূর্ব্বে প্রেমচাঁদের সুশীল বদনে এত রাগ আমি কখন দেখি নাই। তখন ফুলমণি