পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৭৫

তাহারও মন কিছু সুস্থির হইতে পারিবে। কিন্তু যে কোন রূপে আমাদিগকে শীঘ্র ফিরিয়া যাইতে হইবে, কেননা আপনকার আয়া ব্যতিরেকে প্যারীর কাছে আর কেহ নাই; পাড়ার সমস্ত লোক বংশির গোলমালেতে মত্ত হইয়াছে।

 আয়ার বিষয় শুনিয়া আমি আশ্চর্য্য জ্ঞান করিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, আমি আয়াকে ঘরে রাখিয়া আসিয়াছিলাম, সে এখানে কখন আইল? ফুলমণি কহিল, বোধ হয় প্রায় অর্দ্ধঘণ্টা হইল, এবং যেমন শুষ্ক ভূমি আকাশের জল চূষিয়া লয়, তেমনি আয়া সেই অবধি প্যারীর মুখহইতে জীবনদায়ক বাক্য অতি যত্ন পূর্ব্বক গ্রহণ করিতেছে।

 ফুলমণি এই কথা কহিতে২ তাহার স্বামী প্রেমচাঁদ আসিয়া উপস্থিত হইল। সে তিন দিন পূর্ব্বে পাদরি সাহেবের কোন কর্ম্মের উপলক্ষে কলিকাতায় গিয়া এই মাত্র ঘরে পৌঁছিল, তাহাতে সে বংশির মৃত্যুর সংবাদ শুনিয়া অতিশয় দুঃখিত হইয়া তাহাদের বাটীতে তৎক্ষণাৎ আইল। পরে ফুলমণির নিকটে প্যারীর বিষয় জ্ঞাত হইয়া প্রেমচাঁদ তাহাকে পুনরায় দেখিবার নিমিত্তে আমাদের সহিত যাইতে স্থির করিল।