পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৭৭

সাহেব! আপনি আমার মৃত্যু দেখিতে আসিয়াছেন। আমি বলিলাম, হাঁ প্যারি, যে পর্য্যন্ত আমাদের স্বর্গস্থ পিতার বাটীতে তোমার সহিত সাক্ষাৎ না হয়, সেই পর্য্যন্ত তোমার নিকটে বিদায় লইতে আসিয়াছি। তখন স্পষ্ট বোধ হইল যে প্যারীর গমন কাল সন্নিকট, কেননা সে এক কালীন মৃদুস্বরে চারি পাঁচটি কথা ব্যতিরেকে আর বলিতে পারিল না।·

 ফুলমণি ভালরূপে বিবেচনা করিয়াছিল, যে এমত সময়ে বংশির ভয়ানক মৃত্যুর বিষয় বলিয়া প্যারীর মনকে অস্থির করা কর্ত্তব্য নয়, এই কারণ প্রাতঃকালের তাবৎ ঘটনার বিষয়ে সে নিতান্ত অজ্ঞাতা ছিল। তথাপি আমি বড় ইচ্ছুক হইলাম, যে প্যারী করুণাকে এই সময়ে একটি সান্ত্বনার বাক্য কহে; এই জন্যে তাহার হাত ধরিয়া বলিলাম, প্যারি, এই স্থানে এক জন আছে, যে আপনাকে অতিশয় পাপিষ্ঠ জানিয়া বোধ করে, পরমেশ্বর আমাকেই ক্ষমা করিবেন না; এমত ব্যক্তিকে তুমি কি পরামর্শ দিয়া যাইবা?

 তখন প্যারী করুণাকে আর চিনিতে পারিল না, কিন্তু এই কথাতে সে মস্তক তুলিল, এবং তাহার অবশিষ্ট যৎকিঞ্চিৎ বল ছিল, তদ্দ্বারা সে