পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১২

সকল কথা শুনিতে২ সময় গেল; তাহাতে বাবু আপন স্ত্রীর কাছে প্যারীকে রাখিয়া চলিয়া গেলেন। মধুর স্ত্রীকে কালীপুরে পাওয়া গেল; সেখানে সে কাঠ কুড়াইয়া বেচিতেছিল, এবং তাহার যত গহনা ছিল তাহা একটিও তাহার নিকটে নাই। সে এই কথা বলে, যে একটি বৃদ্ধা স্ত্রীলোক প্রথমে আমার প্রতি বড় দয়া প্রকাশ করিয়া পাঁচ সাত দিন আমাকে ঘরে রাখিয়া খাইতে দিল। পরে এক রাত্রিতে আমি যখন ঘোরতর নিদ্রা গিয়াছিলাম, তখন কে আসিয়া আমার সমুদয় গহনা গাত্রহইতে খুলিয়া লইল। প্রাতঃকালে উঠিয়া গহনা না দেখিয়া আমি কান্দিতে২ ঐ বুড়া স্ত্রীকে কহিলাম, তুমিই অবশ্য আমার গহনা লইয়াছ; তাহাতে সে আমাকে গালি দিয়া ঘরহইতে বাহির করিয়া দিল। তখন আমি বলিলাম, তবে আমি কি ক্ষুধায় মরিব? আমি নালিশ করিতে যাই। এই কথা শুনিয়া বুড়ি বলিল, তোর সাক্ষী নাই, তোর টাকা নাই, তুই কি প্রকারে নালিশ করিবি? এই লও, আমি দয়া করিয়া তোকে দুইটি টাকা দিলাম, কিন্তু তুই যদি এই বিষয় প্রকাশ করিস্ তবে আমি তোর নামে নালিশ করিব।