পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২০৭

বাস না কর, ও এক সঙ্গে প্রভুর ভজনালয়ে না যাও, তাবৎ আমি তোমাদের জন্যে ঈশ্বরের নিকটে প্রার্থনা করিতে ক্ষান্তা হইব না।

 এই কথা শুনিয়া করুণার মুখ কিছু প্রফুল্ল হইল, কিন্তু পরে সে নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলিল, আহা! এমন সুগতি কি আমার হইবে? আমার গৃহ কি কখন ফুলমণির গৃহের মত হইবে?

 আমি কহিলাম, করুণা, অবশ্য হইতে পারে, কিন্তু এই নিমিত্তে তোমাকে চৌকি দিয়া প্রার্থনা করিতে হইবে। তুমি আপনার মনকে নিত্য২ চৌকি দেও, যেন কোন প্রকারে পাপ তাহাতে প্রবেশ করিতে না পারে; এবং কোন বিপদে পড়িলে ফুলমণির নিকটে গিয়া তাহার পরামর্শ লও, সে তোমাকে অবশ্য সদুপদেশ দিবে।

 এই সকল কথা সাঙ্গ হইবা মাত্র এক জন চৌকিদার নবীনের বাপকে ধরিয়া ঘরে লইয়া আইল। তখন সে অতিশয় মাতাল হইয়া প্রায় অচৈতন্য হইয়াছিল। চৌকিদার করুণাকে বলিল, তোর ভাতারকে লও, গো। আমি না থাকিলে সে এখনি গাড়ীতে চাপা পড়িয়া মরিত। স্বামির অবস্থা দেখিয়া করুণার মুখ রাগেতে রক্তবর্ণ হইয়া উঠিল; তাহাতে আমি বলিলাম, সাবধান!