পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১৩

 করুণা আরো বলিল, এই সকল রাণীর কথা; কিন্তু আমার বোধ হয় তাহা সকলি মিথ্যা। মধু তো বলে, যদি সে আমার গহনা আনিয়া না দেয়, তবে আমি তাহাকে চোরের ন্যায় কয়েদ করাইব।

 ফুলমণি বলিল, মধু তাহা কখন করিতে পারিবে না। বিবাহের সময়ে ঐ গহনা রাণীকে দান করিয়াছিল কি না? আর সকল গহনা কিছু মধুর দত্ত নয়, কতকগুলি গহনা রাণীর মাতা মৃত্যুকালে তাহাকে দিয়া গিয়াছিল। আমার বোধ হয় রাণী সত্য কথা বলিয়াছে। ঐ বুড়ি গহনার লালসায় তাহাকে স্থান দিয়া থাকিবে, তাহা না হইলে এমত দয়ালু কে আছে যে খ্রীষ্টিয়ানীকে আপন ঘরের ভিতরে আনিয়া আহারাদি দেয়? রাণী পলাইয়া যাওয়াতে বড় অজ্ঞানের কর্ম্ম করিল বটে, তথাপি তাহারই সম্পূর্ণ দোষ নয়; তাহার স্বামী এবং শাশুড়ী তাহাকে যে বড় দুঃখ দেয়, তাহা আমি ভালরূপে জ্ঞাত আছি।

 করুণা উত্তর করিল, তুমি তো রাণীর পক্ষে অবশ্য বলিবা, কারণ সে স্কুলের মেয়া ছিল, আর সে তোমার সুন্দরীর বন্ধু। কিন্তু ফুল-