পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৪০

তেছে, ও তাহার দুষ্টা ঝকড়াটে শাশুড়ীর প্রতি কেমন সহিষ্ণুতা প্রকাশ করিয়া তাহার সকল আজ্ঞা পালন করিতেছে। ফুলমণি, রাণী তোমারই ধর্ম্ম মেয়্যা; তাহার সহিত ধর্ম্মের বিষয়ে আমার তো প্রায় কথা হয় নাই।

 ফুলমণি কহিল, মেম সাহেব, সে আপনার স্বামী মধুর ভয়ানক মৃতু্য দেখিয়া আপন আত্মার বিষয়ে প্রথমে চিন্তা করিতে লাগিল; এবং দুই দিবস পরে তাহার প্রসব হওনের সময়ে ঈশ্বর তাহার প্রতি অতি দয়া প্রকাশ করিলেন, তদ্দ্বারা তাহার মন বিশেষরূপে নম্র হইল, ইহা সে আপনি আমাকে বলিয়াছে। সে যাহা হউক, মেম সাহেব, রাণী যদ্যপি আমার ধর্ম্ম মেয়্যা হয়, তবে আমাদের প্রিয়া করুণাকে আপনকার শিষ্য অবশ্য বলিতে হইবে। ও মেম সাহেব, শেষ দিবসে সে আপনকার পক্ষে আনন্দরূপ মুকুট হইবে; কারণ করুণার মন অতিশয় প্রেমিক, এবং সে যদি সত্য খ্রীষ্টিয়ান হয়, তবে বোধ হয় অনেকের ন্যায় খ্রীষ্টের প্রতি তাহার প্রেম কখন শীতল হইবে না।

 আমি কহিলাম, ফুলমণি, করুণার শিক্ষাতে তুমি আমাকে কিপর্য্যন্ত সাহায্য করিয়াছ, তাহা