২৮৩
পূর্ব্বাপেক্ষা ভাল বোধ করিলাম; আর ঐ কথা শুনিবা মাত্র আমার প্রিয় মাতাকে স্মরণ হইল, কারণ তিনি সর্ব্বদা আপন ফুলগাছের সহিত পারমার্থিক বিষয়ের তুলনা দিয়া থাকেন।
তখন পাদরি সাহেব জিজ্ঞাসিলেন, ফুলমণি, তুমি এবিষয় শুনিলা, এখন কি বল?
ফুলমণি উত্তর করিল, মহাশয়, আমার মেয়্যা যদি দুই তিন বৎসর পর্য্যন্ত এমত ধার্ম্মিক স্বামির অপেক্ষাতে থাকে, তবে তাহাতে আমি সম্মতা আছি; কিন্তু তখন সুন্দরীর আঠারো বৎসর বয়স হইবে, অতএব চন্দ্রকান্তের সহিত তাহার বিবাহের বিষয় সকল যদি স্থির করিয়া রাখা যায়, তবে কিছু বিলম্ব হইলে ক্ষতি নাই।
ডাক্তর সাহেবের বিবি কহিলেন, দেখ ফুলমণি, তোমার মেয়্যা আপনি বলিতেছে যে চন্দ্রকান্ত তাহাকে বিবাহ করিতে চাহে; এমত যদি হয়, তবে আমি তোমার সাক্ষাতে বলিয়া যাইতেছি, আমি ঘরে পৌঁছিবা মাত্র চন্দ্রকান্ত ও তাহার পিতা মাতার সহিত এ বিষয় স্থির করিব; এবং ঐ যুব পুরুষের বিষয় আমি সাহসপূর্ব্বক বলিতে পারি, সে যদি বাঁচিয়া থাকে, তবে যাহা অঙ্গীকার করিবে তাহা সাধ্য পর্য্যন্ত সিদ্ধ করিবে।