পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২১

আয়ার কর্ম্ম শিখাইব। বোধ করি সে ধার্ম্মিকা মেয়া, এবং এমত ব্যক্তি আমার বাবাদিগের নিকটে থাকে, ইহা আমি বড় অভিলাষ করি। যদ্যপি সুন্দরী এখন কোন কর্ম্ম না জানে, তথাপি আমি তাহাকে খাদ্য বস্ত্রাদি ও প্রতিমাসে দুই টাকা বেতন দিতে স্বীকার করিতেছি; পরে কর্ম্মে পারক হইলে আরো বৃদ্ধি করিয়া দিব। এই কথাতে যদি সম্মতা হও, তবে আমি এখনি সুন্দরীর এক বৎসরের বেতন অর্থাৎ চব্বিশ টাকা তোমার হাতে দিই; তুমি টাকা লইয়া কবিরাজকে দিলে তোমাদের সকল দুঃখের শেষ হইবে।

 তদনন্তর ফুলমণি আমাকে বলিল, মেম সাহেব, আমি ঘরে আসিয়া এই সকল কথা সুন্দরীর পিতাকে জানাইলাম, কিন্তু তিনি কন্যাকে ছাড়িয়া দিতে অনিচ্ছুক হইলে আমি পাঁচ সাত দিন পর্য্যন্ত কিছু স্থির করিতে না পারিয়া ডাক্তর সাহেবের বিবির নিকটে গেলাম না। আমাদের প্রতিবাসি সকলে কহিল, এমত কর্ম্ম কখন করিও না। কেহ২ বলিল, ছি ছি! লোকে লজ্জা দিবে; কেহ২ বলিল, না না, মেয়া ভ্রষ্টা হইবে; কেহ বা বলিল, তোমরা অতিশয় টাকার লোভী; টাকার লালসায় কন্যাকে বিদেশে চাকরি করিতে পাঠাইতে