পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৯১

তার হার গাঁথিয়া ঐ চন্দ্রাতপের চতুষ্পার্শ্বে টাঙ্গাইয়া দিল। নবীনের বিষয়ে এস্থানে বলিতে হয়, যদ্যপি সে লেখা পড়াতে বড় নিপুণ ছিলনা, তথাপি ক্রমে২ অত্যুত্তম বালক হইয়া খানসামার কর্ম্ম উত্তম রূপে শিখিয়াছিল। ফুলমণি এবং আর চারি জন স্ত্রীলোক বিবাহে না গিয়া ভোর অবধি ঐ ভোজ প্রস্তুত করিতে লাগিল। এগার ঘণ্টা হইলে আমি আয়াকে আপন গাড়ীতে লইয়া রাণীকে গীর্জায় লইবার নিমিত্তে খ্রীষ্টিয়ান পাড়াতে গেলাম। রাণী অতি সুন্দর গোলাপি রঙ্গের একখানা রেসমের শাড়ি পরিয়া প্রস্তুতা হইয়া আমার অপেক্ষায় ফুলমণির ঘরে বসিয়া ছিল; তাহাতে আমার গাড়ী দেখিবামাত্র সে প্রফুল্ল বদন হইয়া বাহিরে আইল। রাণী যদ্যপি সুন্দরীর সমান রূপবতী ছিলনা, তথাপি সে দিবসে যাহারা তাহাকে দেখিল, সকলে অতি সুরূপা বলিয়া সর্ব্ব প্রকারে তাহার প্রশংসা করিল। আমার বিশ্বস্থা আয়া প্রায় তাবৎ পথ কাঁদিতে২ গেল; কিন্তু ঐ অশ্রুপাত দুঃখপ্রযুক্ত নয়, কেবল ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতাদ্বারা হইল। সে একবার আপনা আপনি উচ্চৈঃস্বরে বলিল, হে পরমেশ্বর! দীনহীন পাপিষ্ঠা যে আমি, আমার