পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৪

হইলাম বটে, কিন্তু “যে জিহ্বা তোমার সহিত বিবাদ করে, তাহাকে তুমি বিচারে দোষী করিবা,” ঈশ্বরের এই অঙ্গীকার আমাদের প্রতি তখন সফল হইল; কারণ সুন্দরী যে দুষ্টা, তাহা কেহ্ বিশ্বাস না করিয়া প্রতিবাসি সকলে বুড়িকেই দোষ দিতে লাগিল।

 তদনন্তর আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, যে যুব পুরুষ তোমার কন্যাকে বিবাহ করিতে অভিলাষ করিয়াছিল, শেষে তাহার কি ঘটিল?

 ফুলমণি বলিল, মেম সাহেব ঐ স্ত্রীলোক যে ব্যক্তির কথা এক্ষণে এই স্থানে কহিতেছিল, সেই বুড়ির পুত্ত্র মধু আমার সুন্দরীকে বিবাহ করিতে চাহিয়াছিল। এক বৎসর পরে সে রাণীকে বিবাহ করিল; কিন্তু রাণী এই প্রকারে তাহার নিকটহইতে দুইবার পালায়ন করিয়াছে। রাণী আমার সুন্দরীর সঙ্গে এক স্কুলে পাঠ করিত, তাহাতে উভয়ের অত্যন্ত প্রণয় হইয়াছিল। এই কারণ সুন্দরী গেলে পরে রাণী আমার নিকটে কখন২ আসিয়া কিছু কাল বসিয়া সকল দুখের কথা বলিত; কিন্তু প্রায় তিন মাস হইল সে আমাকে বলিয়াছিল, আমি যখন তোমার নিকটহইতে ঘরে যাই তখন স্বামী কিম্বা শাশুড়ী বড়