পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

২৭

অন্বেষণ কর নাই, এবং আমিও আপনার ভগিনীকে এবিষয়ে কিছু বলি নাই। অতএব ঈশ্বর আপনি যখন উপযুক্ত দ্বার খুলিয়া দেন, তখন সে দ্বারে প্রবেশ করা তাঁহার ভক্তদের অবশ্য কর্ত্তব্য।

 ফুলমণি বলিল, মেম সাহেব,পাদরি সাহেবের এই কথা শুনিয়া আমরা সুন্দরীকে কলিকাতায় পাঠাইতে স্থির করিলাম। পর দিবসে ডাক্তর সাহেবের মেম অঙ্গীকার অনুসারে সুন্দরীর এক বৎসরের বেতন অগ্রে দিলেন, তদ্দ্বারা আমরা কবিরাজকে বিদায় করিয়া আট দিন পর্য্যন্ত বড় সুখে কালযাপন করিলাম। কিন্তু সুন্দরী কলিকাতায় গেলে পর আমি অত্যন্ত দুঃখিত হইলাম, তাহাতে সুন্দরীর পিতা আমাকে বার২ বলিতেন, ফুলমণি কান্দিও না, তুমি ঈশ্বরের অভিমত ক্রিয়া করিলা, ইহাতেই তোমার সান্ত্বনা হউক।

 যাওনের আট দশ মাস পরে সুন্দরী আপন মেমের সঙ্গে এক বার ঘরে আসিয়াছিল, তাহাতে দেখিলাম সে সর্ব্বপ্রকারে ভাল আছে। তাহার পিতাও এক বার কলিকাতায় তাহাকে দেখিতে গিয়াছিলেন, এবং পৌষ মাসে ডাক্তর সাহেবের মেমের এই স্থানে পুনর্ব্বার আসিবার কথা আছে।