পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৫৭

 পরে আমি বলিলাম, এ বড় দুঃখের বিষয় বটে। এ কথা আমাকে পূর্ব্বে জানাইলা না কেন? তখন আমি একটি রুটী ও কিছু মিসরী ও সাগুদানা তাহার হাতে দিয়া কহিলাম, এখন শীঘ্র গৃহে যাইয়া এই সকল তোমার ছেল্যাকে খাইতে দেও; এবং কল্য সন্ধ্যাকালে আমি আপনি পাড়ায় গিয়া কি প্রকারে তোমার উপকার করিতে পারি, তাহা বিবেচনা করিব।

 ইহা শুনিয়া করুণা অসন্তুষ্ট চিত্তে চলিয়া গেল; তাহাতে আমি বোধ করিলাম রুটী ও মিসরীর পরিবর্ত্তে যদি তাহাকে কিছু পয়সা দিতাম, তবে সে অধিক আহ্লাদিতা হইত। কিন্তু বিশ্রামদিবসে যেন তাহাকে কোন দ্রব্য ক্রয় করিতে না হয়, এই জন্যে আমি তাহাকে পয়সা না দিয়া উক্ত দ্রব্য সকল দিলাম।

 পর দিবসে আমি প্রতিজ্ঞানুসারে খ্রীষ্টিয়ান গ্রামে উপস্থিতা হইলাম, এবং কিঞ্চিৎ কাল অনুসন্ধান করিয়া করুণার বাটীর উদ্দেশ পাইলাম। হায়২! ফুলমণির গৃহ এবং করুাণার গৃহ এ দুইয়ের কত বিশেষ দেখিলাম। করুণার উঠানের মধ্যে একটি ছোট রান্না ঘর ছিল বটে, কিন্তু তাহার চাল সমস্ত ভাঙ্গিয়া পড়াতে উনুন ও রন্ধন