পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭৭

আপন শত্রুদের প্রতি প্রেম প্রকাশ করিয়াছ, তেমনি তাহাকেও আপন শত্রুর প্রতি প্রেম করিতে শিক্ষা দিও।

 আর কিঞ্চিৎ কাল পরে মধু পুনর্ব্বার বলিতে লাগিল, ও মা ফুলমণি! রাণি প্রসব হইলে পর তুমি অনুগ্রহ করিয়া তাহার প্রতি ভাল চেষ্টা করিও; আর আমার ছেল্যাটি কিছু বড় হইলে যাহাতে সে ধর্ম্মের বিষয়ে শিক্ষা পায়, তজ্জন্যে তাহাকে পাদরি সাহেবের মেমের স্কুলে দিও।

 এই কথা বলিয়া তাহার বড় জল পিপাসা হইল, তাহাতে সে কাঁদিতে২ কহিতে লাগিল, হায়২! আমি যদি এখন এই জল তৃষ্ণা সহ্য করিতে না পারি, তবে নরকের জ্বালা অনন্তকাল পর্য্যন্ত কি প্রকারে সহিতে পারিব? আমি আপন সাংসারিক বিষয় সকল নির্ধার্য্য করিলাম, কিন্তু ধিক২! পারমার্থিক বিষয়ে কি করিব? হায়! আমাকে নরকে যাইতে হইবে।

 মধুর স্ত্রী এই কথা শুনিয়া তাহার বক্ষঃস্থলে পড়িয়া অতিশয় উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিয়া বলিল, আপনি কি জন্যে নরকে যাইবেন? না না, ঈশ্বর তোমাকে নরকে ফেলিয়া দিবেন না। ফুলমণি মাতা যাহা বলে তাহাই কর, যীশুর হস্ত শক্তরূপে ধর, তিনি