পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৭৯

এবং তাহার মুখ অতিশয় দয়াশীল বোধ হইল। পূর্ব্বে আমি তাহাকে দেখি নাই, তথাচ দেখিবা মাত্র তাহার প্রতি আমার মনে সম্ভ্রম জন্মিল। ঐ পুরুষ ফুলমণির নিকটে গিয়া তাহার সহিত মৃদুস্বরে কথা কহিতে লাগিল, এবং ইহাও দেখিলাম, সে আপন বস্ত্রদ্বারা তাহার চক্ষের জল মুচাইয়া ফেলিল। ইহাতে আমার বোধ হইল এ ব্যক্তি ফুলমণির স্বামী হইবে।

 প্রতিবাসি লোকেরা গৃহের মধ্যে পরস্পর কথা কহিয়া বড় কোলাহল করিতেছিল, এই জন্যে সেই পুরুষ তাহাদিগকে শিষ্টরূপে বলিল, হে ভাই ভগিনীরা, এখন তোমরা এখানহইতে প্রস্থান করিলে ভাল হয়, কারণ তোমরা মধুকে আর কোন প্রকারে উপকার করিতে পারিবা না। এই কথা শুনিয়া লোকেরা বাহিরে যাইতে লাগিল।

 তাহাদের যাওন কালে আমি নানা জনের নানা প্রকার কথা শুনিতে পাইলাম। এক জন বলিল, মধু কেবল মদ্যপানদ্বারা নষ্ট হইল; আর এক জন কহিল, এমত নয়, তাহার ব্যামোহ হইলে পর সে এক ভাঁড় দধি কিনিয়া খাইয়াছিল, তাহাতেই তাহার মৃত্যু হইল। পরে এক জন বুড়ি কহিল, তোরা কি জানিস্? কবিরাজ রোগ তো