পাতা:ফুলমণি ও করুণার বিবরণ.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

৯০

তাহাতে আমার বমি হইতেছে, আর খাইতে পারিব না। এ কথা শুনিয়া এক জন স্ত্রীলোক বলিল, না গো, তোমাকে আর পড়াতৈলাদি দেওয়া যাইবে না, কেননা দেখিলাম তাহাতে কোন উপকার হইল না।

 তখন আমি কহিলাম, এমত অনর্থক উপায়দ্বারা কাহারো কি কখন উপকার হইয়া থাকে? ইহা না করিয়া রাণিকে যদি কিছু খাইতে দেও, তবে বোধ করি ভাল হইতে পারে। এই কথাতে তাহার শাশুড়ী উত্তর করিল, ভাল২! তাহার খাওয়ার বিষয় পশ্চাৎ হইবে, প্রথমে আমাকে ছেল্যা দিউক। বুড়ির এমত বাক্য শুনিয়া আমি বড় রাগান্বিতা হইয়া বলিলাম, তুমি অতিশয় দুষ্টা ও নির্বোধ স্ত্রী, তোমার বউর মুখের প্রতি চাহিয়া দেখ, সে এখনি মূর্চ্ছা যাইবে, তাহা হইলে তুমি কোথাহইতে ছেল্যা পাইবা?

 পরে আমি প্রতিবাসিদের প্রতি ফিরিয়া বলিলাম, তোমাদের মধ্যে যদি কেহ একটু মাছের ঝোল আনিয়া দিতে পার, তবে বড় উপকার হয়। এই কথাতে একটি যুবতী স্ত্রী ঝোল আনিতে আপন গৃহে দৌড়িয়া গেল; কিন্তু সকল বুড়িরা মাথা লাড়িয়া বলিতে লাগিল,